
রাস্তায় পর পর দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠলো পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নিউ আলিপুর থানার ৪ সাব ইন্সপেক্টর (SI) কে সাসপেন্ড করলো পুলিশ। ওই চারজনের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে তদন্ত। আদৌ তাঁরা এই কাজ করেছেন কিনা, করলে কেন করেছেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নিউ আলিপুরের রেলওয়ে স্লাইডিংয়ে প্রতিদিন রাতে প্রচুর ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। চালকেরা ট্রাকের ভিতরেই ঘুমান। অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই এই ট্রাক গুলির উপর তাণ্ডব চালাচ্ছে পুলিশ। কেউ গাড়ির কাঁচ ভেঙে দিচ্ছেন, কেউ দুর্ব্যবহার করছেন, এমনকি ট্রাক চালকদের ঘুম থেকে তুলে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি চরমে উঠলে ট্রাক চালকদের সংগঠন নিউ আলিপুর লরি অ্যাসোসিয়েশনের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সেই অত্যাচার মাত্রা ছাড়ায়। ট্রাক চালকদের সংগঠনের তরফে এক অভিযোগকারী বলেছেন, ‘‘প্রতি দিন রাত সাড়ে ১১টা-১২টা নাগাদ এখানে এসে আমাদের উপর শুধু শুধু অত্যাচার করে পুলিশ। মদ খেয়ে আসে অনেকেই। লরির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। মঙ্গলবারও তা-ই ঘটেছে। আমাদের অনেক চালক বাইরে থেকে আসেন। এখানে তাঁদের ঘরবাড়ি নেই। ট্রাকের ভিতরেই রাতে ঘুমোন তাঁরা। সেখানে ঢুকে পুলিশ মারধর করছে। এটা দিনের পর দিন তো চলতে পারে না। তাই আমরা সকলে মিলে সংগঠনের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’’
পুলিশকর্মীদের তরফ থেকে কোনও টাকা চাওয়া হয়েছিল কিনা জানতে চাওয়া হলে, অভিযোগকারী বলেন, ‘‘না, আমাদের কাছে কোনও টাকা চাওয়া হয়নি। এমনি এমনিই রোজ এসে ভাঙচুর করা হয় ট্রাক। মদ খেয়ে এসে আমাদের উপর অত্যাচার করা হয়।’’
নিউ আলিপুর লরি অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চার সাব-ইন্সপেক্টরকে চিহ্নিত করেছে লালবাজার। ডিসি দক্ষিণ জানিয়েছেন, কেন ট্রাকের কাচ ভেঙে ফেলা হল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করে তদন্ত চলছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন