

লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ১০ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করলো ইডি। অ্যালকেমিস্ট মামলার তদন্তে নেমে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ইডির তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সাময়িক সময়ের জন্য তৃণমূলের ১০.২৯ কোটি টাকা অ্যাটাচ করা হয়েছে। ওই টাকা অ্যালকেমিস্ট গ্রুপ ও অন্যান্য সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের তদন্তে নেমে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মদম্মদ সেলিম বলেন, 'আমরা প্রথম থেকেই এই দুর্নীতির কথা বলে আসছি। একাধিকবার তথ্য প্রমাণ তুলে ধরেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেই সব টাকা তৃণমূলের পকেটে ঢুকেছে'।
ইডির পদক্ষেপে খুশি প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। তবে এখানেই শেষ নয়। এটা শুধু হিমালয়ের চূড়া মাত্র। ঠিক করে তদন্ত করলে ১০ হাজার গুণ বেশি টাকা উদ্ধার হবে'।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাসকে অ্যালকেমিস্ট মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইডি। তৃণমূলের কোষাধক্ষ্য হিসেবে তলব করা হয়েছিল তাঁকে।
উল্লেখ্য, এই মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ কেডি সিংহ। সূত্রের খবর, ‘অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়ালটি’ তাঁরই সংস্থা ছিল। ২০১৬ সালে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে ইডি। অভিযোগ উঠেছিল, সেবি-র অনুমতি ছাড়াই ওই সংস্থাটি লগ্নিকারীদের থেকে ১ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা তুলেছে। তদন্তে নেমে ২০১৯ সালে কেডি-র কুফরির রিসর্ট, চণ্ডীগড়ের শো-রুম, হরিয়ানার পঞ্চকুলার সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ ২৩৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এরপর ২০২১ সালে গ্রেফতার হন তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন