

n১৯ ঘন্টা তল্লাশির পর খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়ি থেকে বেরোয় ইডি। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খাদ্যমন্ত্রীর বাড়ি ছাড়েন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। যদিও ইডি তল্লাশিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই দাবি করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী।
পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে গতকাল রাজ্যের ১৩ জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। সেই তালিকায় ছিল রথীন ঘোষের মাইকেলনগরের বাড়ি। তল্লাশি শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'ইডি যা যা জানতে চেয়েছে সমস্ত কিছু জানিয়েছি। কোনো কিছু গোপন করিনি। তাদের কাজ তারা করছে'।
ইডি সূত্রে খবর, খাদ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে একাধিক মোবাইল, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মধ্যরাতে খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এমন পরিস্থিতি হয় যে ইডি আধিকারিকরা বেরোতেই পারছিলেন না। মন্ত্রীর অনুগামীরা ইডিকে ঘিরে ধরে রীতিমতো স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁরা বলেন, 'ভাগ ইডি ভাগ'।
মোবাইল, ল্যাপটপ ছাড়া ১ কেজি সোনা, ২ হাজার পাতার নথি উদ্ধার করেছে ইডি। রথীন ঘোষের ব্যাঙ্কের নথিও খতিয়ে দেখেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মধ্যগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন রথীন ঘোষ। আর অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন ২০১৪-১০১৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক পুরসভায় অবৈধ নিয়োগ করেছিল।
শুধু রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীই নয়, ইডির তল্লাশি অভিযান চলে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, বরাহনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক, টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীর বাড়িতেও। এছাড়া সল্টলেকে এক আইএএস অফিসারের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন