

সাড়ে ৫ ঘন্টা অতিক্রান্ত, এখনও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর দু'টি বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার নথিতেই পাওয়া গিয়েছিল সুজিত বসুর নাম। তাঁর সাঙ্কেতিক নাম ব্যবহার করা হয়েছিল নথিতে। সেই সূত্র ধরেই তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।
ধৃত অয়ন শীলের একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই নথিতে পাওয়া গিয়েছে বিধাননগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর নাম বলে খবর। ওই নথিতে ব্যবহার করা হয়েছিল 'এসবি' নাম, যা সুজিত বসুর নামের প্রথম অক্ষর এবং পদবির প্রথম অক্ষর বলে মনে করছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।
ইডি সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, ওই নাম ব্যবহার করেই একাধিক জনকে চাকরির সুপারিশ করা হয়েছিল। শুধু সুজিত বসুই নয় আরও অনেক প্রভাবশালীর নাম পাওয়া গেছে নথিতে। তাঁরা পুরসভাগুলিতে ক্লার্ক, গাড়ি চালক, ওয়ার্ড মাস্টার সহ একাধিক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিলেন বলে জানা গেছে। এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতেই এই তল্লাশি অভিযান বলে খবর।
অন্যদিকে, সন্দেশখালির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে এবার তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ইডি। সি আর পি এফ জওয়ানরা কাঁদানে গ্যাস, মাথায় হেলমেট সহ আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে যাবতীয় সবকিছুই নিয়ে লেকটাউন এলাকায় টহল দিচ্ছেন। এমনকি সুজিত বসুর বাড়ি লাগোয়া কোনো জায়গাতেই জমায়েত করতে দিচ্ছেন না তাঁরা। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া সকলেই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সুজিত বসুর দু’টি বাড়িতে তল্লাশির পাশাপাশি বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়ি ও অফিসে এবং উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তী বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। সবকটি জায়গাই ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন