

তৃণমূলকে এঁদো পুকুরের সাথে তুলনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক দিলীপ ঘোষ। দলের মধ্যে প্রবীর ঘোষাল বেসুরো হতেই তাঁকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এঁদো পুকুরে ছিলেন, ওখানেই চলে যান, আরামে থাকবেন।
বুধবার তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা-তে বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষালের একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। যেখানে তিনি লিখেছেন, বিজেপিতে কাজের থেকে টাকা চাওয়ার লোক বেশি। তাই বিজেপি করা যায় না। এরপর সাংবাদিক বৈঠক করেও তিনি জানিয়েছেন, মানসিক ভাবে তিনি বিজেপিতে নেই আর। কেবল তাঁর শরীরটাই রয়েছে।
আজ নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এলে এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, "যাদের কে তৃণমূল নিচ্ছে না, ওখানে নো এন্ট্রি বোর্ড আছে, তাঁরা এধরনের কষ্টের মধ্যে আছেন। তাঁরা কোথায় যাবেন ঠিক করতে পারছেন না। কেউ বলেছিলেন আগে ভুল করেছিলাম, আবার কেউ বলছেন এখন ভুল করছেন। কে কি ভুল করেছেন আগে ঠিক করুন। ভারতীয় জনতা পার্টি গঙ্গার মতো পবিত্র ছিল থাকবে। অনেকে এসেছেন কিন্তু সেই পবিত্রতা সহ্য করতে পারছেন না। উনি এঁদো পুকুরে ছিলেন। ওখানেই চলে যান, কমফোর্ট থাকুন। আমাদের কোনো টেনশন নেই।"
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। বিধানসভা নির্বাচনে হুগলির উত্তরপাড়া থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি কিন্তু পরাজিত হয়েছেন।
গতকাল প্রশাসনিক বৈঠকে এমএলএ-এমপিদের কাজে অসন্তুষ্ট হয়ে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, যখন জনগণ ক্ষেপে যায় তখন এধরণের কথাবার্তা বলে হোয়াইট ওয়াশ করার চেষ্টা করেন প্রত্যেকবার। কখনো কেস্টকে ধমকান আবার বলেন ওর একটু অক্সিজেন কম ঢোকে। আবার ওর টাকাতেই পার্টি চলে। এইধরনের নাটকবাজী দেখে দেখে বাংলার মানুষ ক্লান্ত। ইলেকশনের আগে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেন, কাজের কাজ কিছু করেন না। মানুষ বিকল্প খুঁজেছে, বিজেপি এসেছে। আমরা যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদ করব তেমনি মোদীজির কাজ কিভাবে হয় সেটাও দেখাব।
বিএসএফ-এর গুলিতে তিনজনের মৃত্যু প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষকে নয় বাংলাদেশীকে মেরেছে আর এই জন্য পরিধি বাড়ানো হয়েছে। যারা বাংলাদেশীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করে তারা চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। দেশের লোক খুশি আছে। আমাদের সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সুরক্ষা সব থেকে প্রথম। যারা এটা নিয়ে ব্যবসা করতো তাদের কষ্ট হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন