

রাজ্যের দুই আমলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গেলো সিপিআইএম। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছেন। বুধবার উলুবেড়িয়া-১ নম্বর ব্লকের সাসপেন্ড হওয়া বিডিও এবং উলুবেড়িয়া মহকুমাশাসকের নতুন পদে বদলিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সিপিআইএম।
অভিযোগ, ওই দুই আধিকারিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে নথি বিকৃত করে শাসকদলকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। যা নিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন সিপিআইএম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম। সিপিআইএম প্রার্থীর অভিযোগ শুনে আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির দায়িত্ব ছিল পুরো বিষয়টি অনুসন্ধান করা। তারপরই দুই আমলাকে সাসপেন্ড করা হয়।
পাশাপাশি দুই আমলার বিরুদ্ধে এফআইআর করারও নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ওই দুই আধিকারিককে। মামলাকারী ফের অভিযোগ করেন, দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করলেও এখনও পর্যন্ত এফআইআর করা হয়নি।
মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জি বলেন, উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও নীলাদ্রশেখর দে এবং উলুবেড়িয়া মহকুমাশাসক শমীক কুমার ঘোষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতে সাহায্য করেছেন। আবার আদালতের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করেই পঞ্চায়েত দফতরের নতুন পদে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। ফলে পুরো বিষয়ে সিবিআই তদন্ত চাওয়া হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন