

এবার নিজেদের অধিকারের দাবিতে সংগঠিত হচ্ছেন গৃহ সহায়িকারা। বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন সিটুর অধীনে গৃহ সহায়িকা ইউনিয়নের সদস্যরা প্রথম সম্মেলনও করলেন। সম্মেলন থেকে সামাজিক সুরক্ষা, মজুরি সহ একাধিক দাবিতে সরব হলেন তাঁরা।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ গৃহ সহায়িকা ইউনিয়নের প্রথম রাজ্য সম্মেলন। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার গৃহ সহায়িকারা এই সম্মেলনে সামিল হয়েছিলেন। সকলেই নিজদের অভিজ্ঞতার কথা জানান। কোথাও কাজ করতে গেলে শৌচালয় ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না তো কোথাও গরিব বলে অপমান করা হয়। অনেক সময় ধনী বাড়ির গৃহ কর্তার হাতে নির্যাতিত হন তাঁরা। প্রতিবাদের জায়গা খুঁজে পান না। পাশাপাশি তাঁরা অভিযোগ করেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ বেতন মেলে না, শারীরিক অসুস্থতাতেও ছুটি থাকে না। এই সবের বিরুদ্ধেই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন তাঁরা।
সম্মেলন থেকে ৪৫ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটির সম্পাদক হলেন গৃহ সহায়িকা শিল্পী সরকার এবং সভপতি হলেন ইন্দ্রজিৎ ঘোষ।
সম্মেলন থেকে একাধিক দাবি উঠে এসেছে। দাবিগুলি হলো -
ন্যায্য মজুরি ও সম্মান ...
সকল গৃহ সহায়িকাকে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ...
প্রত্যেক গৃহসহায়িকাকে সচিত্র পরিচিতপত্র দিতে হবে ...
গৃহ সহায়িকাদের সপ্তাহে একদিন ছুটি ...
অসুস্থতার ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটি, এছাড়াও বছরে বিশেষ ছুটির জন্য সরকারি সার্কুলার জারি করতে হবে ...
নূন্যতম মজুরি ৭৫ টাকা প্রতি ঘন্টা।
এদিন সম্মেলনে আগত শিল্পী সরকার পিপলস রিপোর্টারের প্রতিনিধিকে বলেন, 'কর্মী হিসেবে ন্যায্য দাবিদাওয়া যা আমাদের পাওয়া উচিত তা আমরা পাইনা। এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে আমরা আশাবাদী যে আমাদের দাবি দাওয়া পূরণ হবে এবং আমরা শ্রমিক হিসেবে আমাদের অধিকার অর্জন করবো'।
সিটু নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায় পিপলস রিপোর্টারের প্রতিনিধিকে বলেন, 'আমাদের সংগঠন গড়ে তোলার উদ্দেশ্য একটাই। এঁরা একেবারে প্রান্তিক মানুষ। আমরা এই সংগঠনের মাধ্যমে এঁদের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যূনতম মজুরির জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। এই গৃহ সহায়িকারা পৃথিবী জুড়েই লড়াই করছেন। আমাদের রাজ্যেও সিটুর হাত ধরে আমরা এই সংগঠন তৈরি করতে পেরেছি। আমরা নিশ্চিত আগামী দিনে আমরা সরকারকে এঁদের শ্রমিকের মর্যাদা দিতে বাধ্য করতে পারবো'।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন