

কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। আগামী শুক্রবার সকাল ১১টায় কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তাঁর শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকেও কয়লা পাচারকাণ্ডে নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি। ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লির সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আইডির এই সমনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মেনকা। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় এই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চে।
ইডি সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি থেকে আসছে ইডির বিশেষ তদন্তকারী দল। কয়লাকাণ্ডে তাঁদের হাতে প্রচুর নতুন তথ্য উঠে এসেছে। দিল্লির পর এবার কলকাতার ইডি দপ্তরে তলব করা হল অভিষেককে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও কয়লা পাচারকাণ্ডে বহুবার দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সদর দফতরে তলব করা হয় ডায়মণ্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি ইডি ডেকে পাঠিয়েছিল তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বারবার দিল্লিতে তলব করা নিয়ে আদালতে আবেদন জানান অভিষেক। প্রথমে দিল্লি হাইকোর্ট সেই আবেদন নামঞ্জুর করে। শেষপর্যন্ত অভিষেকের সেই মামলা গ্রহণ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
এর পাশাপাশি গত ২৬ মে কয়লা পাচারকাণ্ডে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং (পূর্ব) বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সওকত মোল্লাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করেছিল সিবিআই। তবে একবার ছাড়া বাকি তলব এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
অভিষেককে তলব প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, "এটা কোনও নতুন খবর নয়। এই খবরটা সবাই জানে, ভাইপোও জানে। ভাইপো কালকে সেই কথাটা উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন। পিসি তো গতকাল ঘোষণাই করে দিয়েছেন। উনি তো সব জানেন। মুখ্যমন্ত্রী আগাম ঘোষণা করেছেন এবং সেইমতই কাজটা এগোচ্ছে। তাহলে হয় মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিষী, তাই আগে থেকে বুঝেছেন। আর নাহলে মুখ্যমন্ত্রী সব জানেন। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী অভিষেক চলবে কিনা সেটাই এখন দেখার। ভাইপো তো সব জানেন কোথায় কোথায় কী কী পাচার হয়েছে।"
-With IANS Inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
