

সোমবার সকালে এসএসসি মামলায় ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের এই রায় নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বললেন তিনি। পাশাপাশি, চাকরিপ্রার্থীদের চিন্তা না করার আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী সভা ছিল রায়গঞ্জের চাকুলিয়ায়। সেই সভা থেকে চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “বোমা ফাটাবেন বোমা। কী বোমা? ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বোমা। আমরা লড়ে যাব। লড়াই করব। চিন্তা করবেন না। জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। আমরা আপনাদের পাশে আছি। লড়ব। টোটাল রায়কে চ্যালেঞ্জ করছি। ২৬ হাজার ছেলেমেয়ে মানে দেড়-দুলক্ষ পরিবার। বলছে বেতন ফেরত দিতে হবে। ৭-৮ বছর যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদের ৪ সপ্তাহে বেতন ফেরত দিতে বলছে। এটা সম্ভব?”
উল্লেখ্য, গত শনিবার নির্বাচনী সভা থেকে সোমবার বোমা ফাটবে বলে জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পাশাপাশি, এদিন নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একজনকে দেখলেন না বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে গেল। তাঁরই অর্ডার ছিল এটা (চাকরি বাতিল)। সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। বলেছিল নতুন ডিভিশন বেঞ্চ তৈরি করে আলোচনা করার কথা। কাকে নিয়ে করবেন? বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। এই অর্ডারটা বেআইনি। অর্ডারটাকে বলছি। বিচারপতিকে বলছি। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব।”
এরপরেই সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা থেকে তিনি জানান, “এটা বিজেপির বিচারালয়। রাজনৈতিক বিচার। বিজেপি পিল (Public interest litigation) করলে বেল। অন্য লোকে পিল করলে দেবে লোকে কিল। আজ নয়। দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এটা বিচারপতিদের দোষ নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের দোষ। তারা বিজেপির লোক দেখে দেখে এখানে বসিয়েছেন। যাতে তাঁরা বিজেপি পার্টি অফিস থেকে যা বলে দেয়, সেই অনুযায়ী কাজ করেন।”
এরপরেই চাকরিহারাদের চিন্তা না করার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, “চিন্তা করবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। যখন বিপদে পড়বেন, আর কেউ না থাকলেও আমরা আছি। আরও ১০ লক্ষ চাকরি তৈরি হয়ে আছে।”
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন