

চিটফান্ডকাণ্ডে রাজ্য থেকে পৃথক শাখা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার হেডকোয়ার্টার থেকে এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাহলে কি এবার চিটফান্ডের তদন্ত থমকে যাবে? এই ধরনেরই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে।
সারদা, রোজভ্যালি, আইকোর সহ রাজ্যে হওয়া একাধিক চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্ত চলাচ্ছিল সিবিআই। তদন্তের সুবিধার্থে সিজিও কমপ্লেক্সে পৃথক শাখা খুলেছিল সিবিআই। সেই শাখার আধিকারিকরাই এতদিন সমস্ত মামলাগুলির তদন্ত করছিলেন। বৃহস্পতিবার হেডকোয়ার্টার থেকে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, রাজ্যের জন্য যে শাখাটি খোলা হয়েছিল সেটিকে ইকোনমিক অফেন্স ব্রাঞ্চের সাথে জুড়ে দেওয়া হলো। তাছাড়া আসাম ও ভুবনেশ্বরে রোজভ্যালি তদন্তকারী শাখাটি আবার অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এখন থেকে ওই ব্রাঞ্চগুলিই তদন্ত করবে।
এখন প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ কী কারণে পৃথক শাখা তুলে নেওয়ায় সিদ্ধান্ত নিল সিবিআই? সারদা মামলার এখনও চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করতে পারেনি সিবিআই। একইভাবে রোজভ্যালি মামলারও একই অবস্থা। নয়া নির্দেশিকার পর কি আদৌ তদন্তের কোনো সুরাহা হবে? ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, সারদাকাণ্ডে সমস্ত তথ্য প্রমাণ সিবিআই-র হাতে তুলে দেবেন। তারপরই রাজ্য থেকে পৃথক শাখা প্রত্যাহার করার নির্দেশিকা জারি হলো। ফলে ভবিষ্যতে চিটফান্ড তদন্ত কতটা ত্বরান্বিত হয় সেটাই দেখার।
প্রসঙ্গত, চিটফান্ড নিয়ে মামলা করেছিলেন সিপিআইএম নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। ২০১৪ সালে চিটফান্ডকাণ্ডে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তারপর থেকে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ৯ বছর ধরে তদন্ত চলছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন