
চলতি বছর দুর্গাপুজোর অনুদান ৮৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে করা হয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ৪৫ হাজার পুজো কমিটিকে এই অনুদান দেবেন। আর এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ডিএ কর্মীদের বকেয়া দেওয়ার টাকা নেই, এদিকে পুজোর অনুদান ৩০ শতাংশ বাড়ানো হল কেন? এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার নতুন করে আবেদন দাখিল করেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা সৌরভ দত্ত। অন্যদিকে, রাজ্যের দেওয়া অনুদান নিতে অস্বীকার করল দু'ই ক্লাব।
গত ১৬ মে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ ছ'সপ্তাহের মধ্যে সরকারি কর্মীদের দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু গত জুন মাসে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে ছ'মাস সময় চেয়ে নেয় রাজ্য। পাশাপাশি, শীর্ষ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জিও জানিয়েছে রাজ্য। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই ডিএ মামলার শুনানি। এই আবহে দুর্গাপুজোয় ক্লাব পিছু ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, এই অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বিদ্রোহী ক্লাব ও নদিয়ার রানাঘাটের ৪-এর পল্লি দুর্গোৎসব কমিটি। গত বছর পুজোর আগে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। তখনও রাজ্য সরকারের দুর্গা পুজোর অনুদান নিতে অস্বীকার করে একাধিক ক্লাব। তারপর কেটে গিয়েছে গোটা বছর। আর জি কর কাণ্ডে এখনও অধরা একাধিক প্রশ্ন।
এছাড়া চলতি বছর রাজ্যে একের পর এক ঘটনা ঘটেছে। কসবা ল কলেজে ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ, কালীগঞ্জে তৃণমূলের বিজয় উল্লাসে বোমার আঘাতে প্রাণ গিয়েছে ছোট্ট তামান্নার। তাই গত বছরের ধারা বজায় রেখে এবারও রাজ্য সরকারের অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে দু'ই ক্লাব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন