

'পাড়ায় সমাধান' ক্যাম্পে শিক্ষক বদল এবং তাতেও ব্যাপক দুর্নীতি! সম্প্রতি এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষকদের একাংশ। সেই মামলায় পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। কোন নিয়মে পাড়ায় সমাধান ক্যাম্প থেকে শিক্ষক বদলি হয়েছে তা ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে পর্ষদকে। সোমবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন এমন নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ৮৭ জন শিক্ষকের স্কুল বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই বছর ২২ জানুয়ারীর মধ্যে তাঁদের সংশ্লিষ্ট স্কুলে যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনামায় লেখা ছিল, এটা সাধারণ বদলি। কিন্তু সেই বদলি হওয়া শিক্ষকদের দাবি, তাঁরা বদলির আবেদন করেননি।
পরবর্তীতে জানা যায়, গোটা রাজ্যে এইভাবে মোট ৬০১ জন শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়া শিক্ষকরা নতুন স্কুলে যোগদান করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ওই মামলার শুনানি ছিল সোমবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেই মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, পাড়ায় সমাধান শিবিরে অনেকে অভিযোগ করেছেন তাঁদের সন্তানরা যে স্কুলে পড়ে সেখানে শিক্ষকের সংখ্যা কম। তাই আশেপাশের স্কুলের কোনও শিক্ষককে সেই স্কুলে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়া একজন শিক্ষককে এভাবে বদলি করা যায় কি? এর পিছনেও কি কোনও দুর্নীতি রয়েছে? প্রশ্ন উঠছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন