ধর্নায় নিষেধ! গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নায় বসার আবেদন খারিজ হাইকোর্টের

বৃহস্পতিবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের অবসরকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন চাকরিপ্রার্থীদের পুনরায় ধর্নায় বসার আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।
কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের জল ইতিমধ্যেই বহুদূর গড়িয়েছে। একে একে প্রকাশ্যে এসেছে রাজ্যের শাসক দলের বহু হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের নাম। জেল হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকেই। এমতাবস্থায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না চালিয়ে যাওয়ার আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের অবসরকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন চাকরিপ্রার্থীদের পুনরায় ধর্নায় বসার আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।

বিচারপতির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী,

১) ধর্না চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে মাত্র ৫ দিনের জন্য কেন ধর্নায় বসলেন চাকরিপ্রার্থীরা?

২) সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আদালতের পূর্ব নির্দেশকে কেন চ্যালেঞ্জ করলেন না?

৩) ৫ দিনের ধর্নার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফের কেন আবেদন?

পাশ করেছেন, অথচ চাকরি পাননি। তাই, চাকরির দাবিতে নিজেদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য গত সেপ্টেম্বরে ধর্নায় বসার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। কিন্তু পুলিশ তাঁদের ধর্ণায় বসার অনুমতি দেয়নি। এরপর তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি মান্থা তাঁদের পাঁচ দিনের জন্য অর্থাৎ ১৭-২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্নায় বসার অনুমতি দেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় ধর্নার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত। তবে বাকি চাকরিপ্রার্থীরা আগেই অন্যত্র তাঁদের ধর্নামঞ্চের অবস্থান বদল করেছেন।

কলকাতা হাইকোর্ট
আরও বিপাকে মানিক! পরিবারের সদস্য সহ অজানা ব্যক্তিদের নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, অভিযোগ ED-র

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in