কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী, তাঁর পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছে।
আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, সোনালি চক্রবর্তীকে পুনরায় নিয়োগের ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই। এমন নিয়োগে আচার্যের স্বাক্ষর না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য নয়। গত বছর সোনালির উপাচার্য পদে পুনরায় নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকার জারি করে তাও বাতিল করে আদালত। অনিন্দ্যসুন্দর নামের এক মামলাকারী আদালতে সোনালির পুনর্নিয়োগের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তারই শুনানিতে এই রায় দেয় হাইকোর্ট।
মামলাকারীর অভিযোগ, যে পদ্ধতিতে সোনালিকে উপাচার্য পদে পুনরায় নিয়োগ করা হয়েছিল তাতে ত্রুটি আছে। উপাচার্য নিয়োগের নিয়মানুযায়ী রাজ্যের তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছে নতুন উপাচার্যের নাম পাঠাতে হয়। রাজ্যপাল তাতে সম্মতি দিলে তবেই রাজ্য সরকার উপাচার্য নিয়োগ করতে পারে। সোনালির ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি রাজ্য সরকার মানেনি।
মামলাকারীর আইনজীবী সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, অনেক দিন ধরেই মামলাটি চলছে। আদালত উভয়পক্ষের যুক্তি শুনে সোনালি দেবীকে উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত করেছে।
শিক্ষাদপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্চ কমিটির সুপারিশ মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। সেই নিয়ম মেনেই সোনালিকে নিয়োগ করা হয়। তবে পুনরায় নিয়োগের ক্ষেত্রে আর সার্চ কমিটির সুপারিশের প্রয়োজন হয় না। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি রাজ্যপাল তথা আচার্যকে ফাইল পাঠাতে পারে।
সোনালির নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ( আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়) যোগের অভিযোগ উঠেছিল। শিক্ষা দপ্তর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।