Saradha Scam: সারদা কান্ডে আমানতকারীদের শীঘ্রই টাকা ফেরানোর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

আদালত রায় দেয়, আগামী তিন মাসের মধ্যে সারদার গোষ্ঠীর সমস্ত বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি বিক্রি করতে হবে। বিক্রি করে যে পরিমাণ অর্থ উঠবে তা তালুকদার কমিটিকে দিতে হবে।
সারদা মামলায় রায়দান হাইকোর্টের
সারদা মামলায় রায়দান হাইকোর্টেরগ্রাফিক্স - নিজস্ব
Published on

সারদা মামলায় প্রতারিতদের টাকা ফেরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই রায় দিল বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখার্জী ও শুভেন্দু সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি সারদার বাজেয়াপ্ত সম্পত্তিগুলি বিক্রি করে সেই অর্থ আদালতে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শৈলেন্দ্রপ্রসাদ তালুকদারের কমিটিকে এই অর্থ জমা দেওয়া হবে। কমিটিই সারদা কান্ডে প্রতারিত ব্যক্তিদের টাকা ফেরত দেবে। এমনটাই জানায় আদালত।

এদিন আদালত তার রায়ে জানায়, আগামী তিন মাসের মধ্যে সারদার গোষ্ঠীর সমস্ত বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি বিক্রি করতে হবে। বিক্রি করে যে পরিমাণ অর্থ উঠবে তা তালুকদার কমিটিকে দিতে হবে। সেবির হাতে থাকা তিনটি সম্পত্তিও বিক্রির নির্দেশ দেয় আদালত।

সারদা মামলার আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, সারদা মামলায় বিভিন্ন সংস্থার কাছে প্রচুর পরিমাণে অর্থ রয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির কাছে উদ্ধার হওয়া প্রায় ১,৩০০ কোটি টাকা আছে। রাজ্য সরকারের মাধ্যমে উদ্ধার হয় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। সেই সমস্ত অর্থ আমানতকারীদের এখনও ফেরানো হয়নি। তবে আদালতের এই রায়ের পর এবার স্বস্তি পেলেন বহু ভুক্তোভুগী। এতদিন পর তাঁরা নিজেদের টাকা ফেরত চলেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত হয় এস.পি. তালুকদারের কমিটি। ২০১৬ সালে এই কমিটি নিজেদের কাজ শুরু করে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সারদার টাকা উদ্ধার করে এই কমিটি। এছাড়াও প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য শ্যামল সেনের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করা হয়।

সেই সময় রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, প্রায় ৫০০ কোটি টাকা তুলে দেওয়া হবে ঐ কমিটিকে। কিন্তু তা করতে ব্যর্থ হয় সরকার। প্রায় ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছিল সরকার। সেই টাকা আমানতকারীদেরকে ফিরিয়েও দেয় শ্যামল সেন কমিটি। যদিও ঐ ফেরানো টাকা নিয়েও বেশকিছু গড়মিলের অভিযোগ ওঠে।

সারদা মামলায় রায়দান হাইকোর্টের
সুদীপ্ত সেনের থেকে জোর করে ৮০ কোটি টাকা নিয়েছিলেন মুকুল - সারদার পরিচালন পর্ষদ সদস্যের দাবি

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in