
ওয়াকফ সংশোধিত আইন নিয়ে মুর্শিদাবাদে অশান্তির জেরে মৃত্যু হয়েছে হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসের। সেই খুনে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানায় নিহতের পরিবার। কিন্তু মঙ্গলবার সেই মামলা থেকেই সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পাশাপাশি, আইনজীবীদের এজলাসের মধ্যেই ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি।
মুর্শিদাবাদ সংক্রান্ত সমস্ত মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। ফলে এই মামলার শুনানিও তাঁর বেঞ্চে হওয়া উচিত বলে জানান বিচারপতি। তাই নিহতের পরিবারের আবেদনটি প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার আবেদন করা হলে, সেই নিয়ে সরকারি এবং মামলাকারীর আইনজীবীর মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। এরপরেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আইনজীবীদের সর্তক করে বলেন, “আপনারা যে রাজনৈতিক দলের হয়ে মামলা করছেন, তেমন রাজনৈতিক নেতাদের মতোই আচরণ করছেন। রাজনৈতিক নেতাদের হয়ে মামলার কারণে রাজনৈতিক সমর্থনে বলীয়ান হয়ে উঠছেন। ওঁদের ক্ষমতার উৎস আদালতের বাইরে। কিন্তু আপনারা আদালতের সামনেও সেই ক্ষমতা দেখাচ্ছেন। কোনও একটি দলের কথা নয়, সব দলের কথা বলছি। আইনজীবীরা রাজনৈতিক মক্কেলদের সঙ্গে নিজেদের মিশিয়ে ফেলছেন”।
এরপরেই বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং বলাইচন্দ্র রায়ের উল্লেখ টেনে বিচারপতি ঘোষ বলেন, “রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত অন্য আইনজীবীদের দেখেছি। আমি তো বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বা বলাইচন্দ্র রায়কে দেখেছি। আদালতে তাঁদের রাজনৈতিক আচরণ করতে দেখিনি। কিন্তু আপনাদের আচরণ খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কোনও রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলেই... এভাবে আদালত চলতে পারে না। প্রত্যেক মামলার একটা রায় বেরোবে। আপিল কোর্টে যেতে পারেন”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন