নন্দকুমারে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে সরালো হাইকোর্ট! ৬ সপ্তাহের মধ্যে নয়া বোর্ড গঠনের নির্দেশ

People's Reporter: বুধবার নন্দকুমারের শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারণের নির্দেশ দিয়ে বোর্ড ভেঙে দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা
বিচারপতি অমৃতা সিনহাগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

বুধবার নন্দকুমারের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড ভেঙে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বোর্ডটি তৃণমূলের দখলে ছিল। অনৈতিক ভাবে বোর্ড গঠনের জেরেই এই নির্দেশ বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে গেলেও হাইকোর্টে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। বুধবার নন্দকুমারের শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারণের নির্দেশ দিয়ে বোর্ড ভেঙে দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পাশাপাশি আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রধান নির্বাচন করে পুনরায় বোর্ড গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বোর্ড গঠনের দিন যাতে সকল সসদ্য উপস্থিত থাকতে পারেন সেটাও নিশ্চিত করার দায়িত্ব দিলেন প্রশাসনকে।

মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, তৃণমূল প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে বল প্রয়োগ করে বোর্ড গঠন করেছে। গত ১১ অগাস্ট ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দিনই পুরনো একটি মামলায় সিপিআইএম-র জয়ী সদস্য আব্দুল জব্বরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফলে দুই শিবিরেরই সদস্য সংখ্যা ১১ হয়ে যায়। আব্দুলের বিরুদ্ধে ৫ জুলাই মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি। আব্দুলকে গ্রেফতারের ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল বোর্ড গঠন করে।

শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ২৩। যার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ১১টি, সিপিআইএম ৫টি, বিজেপি ৫টি এবং নির্দলের ঝুলিতে গিয়েছিল ২টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ছিল ১২টি আসন। যা শাসক দলের ছিল না। এই পঞ্চায়েতে প্রধানের পদটি ওবিসি সংরক্ষিত। তৃণমূলের ওবিসি প্রার্থী ছিলেন হাসিনা বিবি এবং বিরোধীদের প্রধান পদপ্রার্থী ছিলেন সিপিআইএম-র জয়ী সদস্য আব্দুল জব্বর।

বিচারপতি অমৃতা সিনহা
হাইকোর্টের নির্দেশে চতুর্থীর রাতে টানা ৫ ঘণ্টা CBI জেরার মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি
বিচারপতি অমৃতা সিনহা
WB: ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা নিচ্ছেন যুবক! প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in