

কেন ২০০২ সালের তথ্যের ভিত্তিতেই ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) হচ্ছে, তা জানতে চেয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে।
এসআইআর নিয়ে মামলা দায়ের করতে চেয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। গত ৩১ অক্টোবর মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় সওয়াল করেন, কেন ২০০২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে এসআইআর হচ্ছে? ২০২৫ সালের তথ্যের ভিত্তিতে এসআইআর করা হোক বলে দাবি তুলেছেন তিনি। প্রয়োজনে এসআইআর প্রক্রিয়ার উপর আদালতের নজরদারি থাক বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, মামলাকারীর বক্তব্য ঠিক নয়। ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। ২০০২ সালে শেষবার এসআইআর হয়েছিল। তাই সেই ভোটার তালিকা দেখেই ২০২৫ সালে এসআইআর সংঘটিত হচ্ছে।
এরপরই কমিশনকে এই বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দিতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে কমিশনকে।
নিজের আবেদনে বিএলও-দের নিরাপত্তার বিষয়টিও তুলেছিলেন মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, বিএলও-রা সরকারি কর্মী। তাঁরা হুমকি পাচ্ছেন। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক।
যদিও এ নিয়ে এদিন কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত। বরং ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানান, এঁরা সরকারি কর্মচারী। তাঁদের কী ভাবে নিরাপত্তা দিতে, হয় তা ভালভাবেই জানে সরকার। তাই আলাদা করে নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য, ৪ নভেম্বর থেকে এ রাজ্যে বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করার কাজ শুরু করেছেন। ৯ তারিখ পর্যন্ত ফর্ম বিলি করা হবে। এরপর ফর্ম জমা নেওয়ার কাজ শুরু হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন