শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও কড়া পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের। রাজ্য সরকারের কাছে ২০১৬ থেকে প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
কলকাতা হাইকোর্টে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেই সময় বিচারপতি বসুর নজরে আসে মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলে ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের ঘটনা। সেখানে দেখা যায় বাবা প্রধান শিক্ষক হওয়ায়, প্রভাব খাটিয়ে ওই স্কুলে নিয়োগপত্র ছাড়াই কর্মশিক্ষা বিভাগের শিক্ষক হন ছেলে। টানা তিন বছর বেতনও তিনি নিয়েছেন। কিন্তু অবাক কাণ্ড জেলা স্কুল পরিদর্শক সে বিষয়ে কিছু জানেনই না।
এরপরই বিচারপতি বসু বলেন, আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সমস্ত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের সমস্ত নথি আদালতে জমা করতে হবে। ২০১৬ থেকে অর্থাৎ গত ছ'বছরের নথি চাওয়া হয়েছে। গত ছ'বছরে সরকারি হিসেবে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার নিয়োগ হয়েছে।
যার মধ্যে নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের সংখ্যা সব থেকে বেশি। নবম-দশমে নিয়োগ করা হয়েছে ১১,৪২৫ জন শিক্ষককে। একাদশ ও দ্বাদশে নিয়োগ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক। এছাড়া গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি মিলিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে সাড়ে ৬ হাজারের কিছু বেশি সংখ্যক কর্মীকে। সমস্ত নিয়োগ যথাযথ নিয়ম মেনে হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দিয়েছন বিচারপতি। সমস্ত নিয়োগপত্র খতিয়ে দেখার দায়িত্বে থাকবেন জেলা স্কুল পরিদর্শকরা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।