শারীরিক ব্যাধি তাঁর দেহকে দুর্বল করলেও মানসিক জোরকে কোনোভাবেই স্পর্শ করতে পারেনি। তাই সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত না থেকেও তিনি থেকে গেলেন সম্মেলনে উপস্থিত সকল সদস্য-প্রতিনিধিদের মনে। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বাম আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সুদূর পাম এভিনিউ থেকে সল্টলেক EZCC-তে অনুষ্ঠিত হওয়া DYFI-এর ১১তম সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে শুভেছা বার্তা পাঠালেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি বলেন,"বর্তমানে আমাদের রাজ্যে এবং দেশে যে জনবিরোধী এবং দমনপীড়নের সরকার চলছে তা প্রতিহত করতে পারে একমাত্র বামপন্থী আন্দোলন। সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকে, সমস্ত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে পশ্চিমবঙ্গের DYFI কর্মীরা রাজ্যের সর্বত্র প্রতিদিন আন্দোলন সংগঠিত করছেন। তাঁদের সংগ্রামকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন এবং DYFI- এর এই কনফারেন্সের সমস্ত সদস্যবৃন্দকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।"
সূত্রের খবর, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে প্রথমদিকে অডিও বার্তাটি ঠিকমত শোনা না গেলেও পরে তা পাঠ করে শোনান DYFI সাধারণ সম্পাদক অভয় মুখার্জী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই শুভেচ্ছাবার্তা তরুণদের মনে আগামীদিনে লড়াই-আন্দোলনকে আরও সুদৃঢ় করতে বাড়তি অক্সিজেন যোগান দেবে বলেই মনে করছে বাম শিবির।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৭ বছর পর এ রাজ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে DYFI সর্বভারতীয় সম্মেলন। ১২-১৫মে অবধি চলবে সম্মেলন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অনেক নতুন ধরণের অভিনবত্ব এনেছে CPI(M)-এর যুব সংগঠন। ফুটবলের রাজপুত্র দিয়োগো মারাদোনার নামে রাখা হয়েছে সম্মেলনস্থানের নাম।
শুধ তাই নয়, সম্মেলন শুরুর দিন ১২ মে রাণী রাসমণি রোডে DYFI পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির প্রকাশ্য সমাবেশে ছিল মানুষের ভীড় উপচে পড়ার মত। সারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ছাত্র-যুব-বয়স্ক মানুষের ঢল নেমেছিল এই সমাবেশে। এই তারুণ্যের জোয়ার কী তবে লাল শিবিরের পুনরায় ঘুরে দাঁড়াবার পাথেয় হতে চলেছে!
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।