

ক্ষয়িষ্ণু এসএফআই যদি আন্দোলন করে দাবি ছিনিয়ে আনতে পারে তাহলে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি পারছে না কেন? বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি এই প্রশ্ন তুললেন সাংবাদিক সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি রাজনৈতিক মহলে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। যদিও এই পোষ্টে ‘প্রত্যক্ষ দলীয় বৃত্ত’ থেকে তিনি সরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ২.২৫ মিনিটে করা ফেসবুক পোষ্টে বিজেপিকে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু করে প্রশংসা করেছেন বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর। উল্লেখ্য, সরকারি নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বহু স্কুলে ভর্তির সময় অতিরিক্ত টাকা নেবার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তিনি একথা জানিয়েছেন।
নিজের পোষ্টে সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন আজ থেকে বছর দেড়েক আগে অতীতে এবিভিপি করা বর্তমানে বড়ো পদে থাকা কাউকে – “বুঝিয়েছিলাম একবার, বেশ সময় নিয়ে। যে এই ইস্যুতে এবিভিপিকে নামান। মানুষের সমর্থন ভীষণভাবে পাবেন। মিনিট দশেক বোঝানোর পর ফিরতি উত্তর পেয়েছিলাম - আপনি একটু এইসব বিষয় নিয়ে কম ভাবুন। সব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাবেন না।”
সরকারি অথবা সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে ভর্তির সময় অতিরিক্ত টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, সরকারি স্পন্সরড, এইডেড যে কোন স্কুলে কোন ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে ২৪০ টাকার বেশি স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও অ্যাকাউন্ড হেডে নিতে পারেনা । (Memo No. 575 - SF(EE)2P/2013 dt. 21.0613). অথচ এই নির্দেশ থাকা সত্বেও প্রায় প্রতিটি স্কুল নানান হেডে অনেক বেশি টাকা নেয় ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে।
সন্ময়ের অভিযোগ, অতিরিক্ত সেই টাকা থেকে দু হাজার/তিন হাজার টাকা দিয়ে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক রেখে অপূর্ণ পদের ঘাটতি সামলানো হয়। সরকার এটা জানে। বছরের পর বছর এটা চলছে।
এরপরেই সন্ময় জানান, সম্প্রতি এই বিষয়েই একটা ঘটনা নজরে এল। তাই লিখছি। হাওড়া জেলায় এস এফ আই এই নিয়ে টানা আন্দোলন করে প্রায় চার হাজার অভিভাবকের সই নিয়ে ডি আই অফিসে ঝাঁপিয়েছে। যার ফলে, হাওড়া জেলার ডি আই শেষ পর্যন্ত ৩৬ টা স্কুলকে নোটিশ পাঠিয়েছে, ২৪০ টাকার বেশি যে টাকা আপনারা নিয়েছেন তা অবিলম্বে অভিভাবকদের ডেকে ফেরত দিতে হবে। একইভাবে মুর্শিদাবাদেও আন্দোলনের পর ডি আই নোটিশ পাঠিয়েছে সব স্কুলকে।
রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, “প্রশ্ন এখানেই, ক্ষয়িষ্ণু শক্তি এসএফআই যদি এটা করতে পারে, সরকারকে বাধ্য করতে পারে, এরাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এই ইস্যুটা হাতে নিল না কেন। সমস্যাটা কোথায়? কেন?”
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন