
মদন মিত্র পর্বের মাঝেই দলের অস্বস্তি এবার বাড়ালো আর এক তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। প্রকাশ্য মঞ্চেই দলীয় বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। তাঁর দাবি, তাঁর থেকে কম যোগ্যতার অনেকেই মন্ত্রী হয়েছেন। প্রবীণ রাজনীতিকের এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই তিনি জানান, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
রবিবার বরানগরে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে বরানগরের তৃণমূল বিধায়কের একটি মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাপস রায়কে বলতে দেখা গেছে, "আজকে যে প্রজন্ম উঠে এসেছে, এঁদের সকলেরই যে যোগ্যতা আছে বলে আমি মনে করি না। এখন যাঁরা যাঁরা লোকসভার এমপি, রাজ্যসভার এমপি, সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী, মেয়র, চেয়ারপার্সন, কাউন্সিলর হচ্ছেন। মনে রাখা উচিত, কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস যদি না হতো আর দিদিমণি যদি না থাকতেন, তাহলে এঁদের অনেককেই আজ দেখা যেত না।"
তিনি বলেন, "আমার মন্ত্রিসভায় স্থান হয়নি। ১২ বছরের আড়াই বছর মন্ত্রী ছিলাম। তার আগেও ছিলাম না, তার পরেও হয়নি। যোগ্যতায় আমার ধারেকাছে নেই, তাঁরাও সব মন্ত্রী হয়েছেন।" যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস্ রিপোর্টার।
বিধায়কের এই মন্তব্য নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয় দলের অন্দরে। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "মন্ত্রিসভা যখন গঠন হয়, অনেক যোগ্য মানুষ মন্ত্রিসভায় থাকেন, আবার অনেকে থাকতে পারেন না। গঠনের সময় সমাজের সব অংশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব দেখতে হয়। মন্ত্রিসভা আর মাধ্যমিকের টপ টেন এক নয়।''
বিতর্ক শুরু হতেই সাফাইয়ের সুরে বিধায়ক তাপস রায় বলেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, "আমি বলেছি মন্ত্রিসভা বা দলের পদে কাস্ট, জেলা - এ রকম অনেক ডিভিশন থাকে। তাই সব সময় সব যোগ্য লোককে পদ দেওয়া যায় না। তাই সবাইকে পদ বা টিকিটের ঊর্ধ্বে উঠে দল করতে বলেছিলাম।’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত থেকে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে যাচ্ছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। রাজনীতি থেকে অবসরের কথাও বলেছেন তিনি।