
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই-এর করা মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মঞ্জুর করল না কলকাতা হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ। মঙ্গলবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। ইডি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেও, সিবিআই মামলায় জামিন মঞ্জুর না হওয়ায়, আপাতত জেলেই থাকতে হবে প্রাক্তন মন্ত্রীকে।
এই মামলায় পার্থ ছাড়াও জামিন মঞ্জুর হয়নি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুবীরেশ ভট্টচার্য এবং অশোককুমার সাহার। মঙ্গলবার শুনানিতে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর পর্যবেক্ষণ, আইন অনুযায়ী জামিন নিয়ম এবং জেল ব্যতিক্রম। তবুও এটা গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ। অযোগ্যদের শিক্ষক করা হলে সমস্ত শিক্ষাব্যবস্থার অবনতি হবে।
বিচারপতি বলেন, ‘সততার সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ট্রায়ালের অনুমতি দিতে রাজ্য কেন চুপ? লোকসভা ভোটের আগে থেকে অভিযুক্তদের ট্রায়াল নিয়ে রাজ্য অবস্থান জানায়নি। বুঝতে হবে অভিযুক্তদের সঙ্গে রাজ্যের এখনও সম্পর্ক রয়েছে’।
নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের করা মামলায় জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ন’জন। গত ২০ নভেম্বর বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংয়ের বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। শুনানিতে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় ন’জনের জামিন মঞ্জুর করলেও, বিচারপতি সিং এই রায়ে একমত হয়নি।
তিনি কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, সুব্রত সামন্ত রায় এবং চন্দন ওরফে রঞ্জন মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করলেও পার্থ, সুবীরেশ, অশোক, কল্যাণময়, শান্তিপ্রসাদের জামিনে ‘না’ করে দেন। ফলে এই পাঁচ জনের জামিন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ফলে এই মামলাটি যায় তৃতীয় বেঞ্চে। উল্লেখ্য, ডিভিশন বেঞ্চের কোনও মামলায় বিচারপতিদের মত না মিললে তখন প্রধান বিচারপতি মামলাটি তৃতীয় বেঞ্চে পাঠান।
এক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গেল বেঞ্চে। সেখানে গত মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি শেষ হয়। রায়দান স্থগিত রাখা হয়। গতকাল সেই মামলার শুনানি হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন