বাবার পর মেয়েও কটাক্ষের শিকার, আদালত চত্বরে অনুব্রতর মেয়েকে 'গোরু চোর' বললেন এক মহিলা

তিনি বলেন, ‘গোরু চোরের মেয়ে। ওনার বাবা কি করেছে জানেননা? অনুব্রত ক্লাস এইট পাস করা লোক। মাছের ব্যবসা ছিল। গরিবের টাকা মেরে নিজে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করেছে।
আদালতে অনুব্রত কন্যা
আদালতে অনুব্রত কন্যাছবি - নিজস্ব
Published on

অনুব্রতর মেয়েকে শুনতে হল তিনি ‘গোরু চোর’। আদালত চত্বরে এক মহিলা অনুব্রতর দুর্নীতি তুলে ধরে তীব্র কটাক্ষ করেন সুকন্যাকে। ইতিমধ্যেই ঐ মহিলার ভিডিও ভাইরাল।

বাবার পর মেয়ের নামের সাথে জুড়ে গেল ‘গোরু চোর’ কথাটি। বিচারপতি গাঙ্গুলীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরে দিতে আসেন অনুব্রত কন্যা। সেখানেই তাঁকে দেখা মাত্রই এক মহিলা গোরু চোর বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, 'গোরু চোরের মেয়ে। ওনার বাবা কি করেছে জানেন না? অনুব্রত ক্লাস এইট পাস করা লোক। মাছের ব্যবসা ছিল। গরিবের টাকা মেরে নিজে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করেছে। এত টাকার হিসেব দিতে পারবে?'

তিনি আরও বলেন, আমরা গরিব মানুষ না খেতে পেয়ে মরছি। এদিকে এরা দুর্নীতি করেও এদেরকে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনুব্রত গোরু পাচারের সাথে যুক্ত বলেই তাকে গোরু চোর বলছে সবাই। ওর মেয়ের নামে কোটি কোটি টাকা ধরা পড়ছে। আমার বা অন্য কারুর নামে তো কেউ কিছু অভিযোগ করছে না।

সাংবাদিকরা ঘিরে ধরলে তিনিবলেন - 'আমরা ন্যায় চাই। আদালত আছে বলেই আমরা বেঁচে আছি। বিচারপতিরা আছেন বলেই আমরা ভরসা পাচ্ছি।' তিনি বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে ভগবানের সাথেও তুলনা করেন। সাংবাদিকরা তাঁর কাছে আদালত চত্বরে উপস্থিতির কারণ জানতে চান। তিনি জানান নিজের অফিসের একটি মামলার জন্য এসেছেন। যদিও এবিষয়ে মুখ খোলেননি সুকন্যা। তিনি সোজা চলে যান আদালতের ভিতর।

উল্লেখ্য, কালিকাপুর প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন সুকন্যা। অভিযোগ বাড়ি থেকে মাত্র তিন মিনিট দূরত্ব, তাও স্কুলে যেতেন না তিনি। বরং তাঁকে সই করানোর জন্য হাজিরার রেজিস্টার পাঠানো হত তাঁর বাড়িতে। টেট পাশ না করেই চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। সুকন্যা-সহ ৬ জনকে হাজিরার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তারই হাজিরা ছিল আজ। তবে এদিন হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি।

আদালতে অনুব্রত কন্যা
সুকন্যার মতোই টেট পাস না করে চাকরি অনুব্রতর বিজেপি কর্মী ভাইপোর - দাবি সেলিমের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in