

দুই কর্মীর অনৈতিক বদলির প্রতিবাদে খাদ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখালো সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এবং রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরা। যার পাল্টা হিসেবে তৃণমূলপন্থী রাজ্য সরকারি কর্মীরাও খাদ্য ভবনে বিক্ষোভ দেখান। যা নিয়ে পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
সোমবার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী খাদ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অভিযোগ, গত ১০ মার্চ সরকারি কর্মীদের ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় অনৈতিকভাবে বদলি করা হয়েছে সৌমেন্দ্র নারায়ণ বসু এবং দেবু সিংহকে। এর প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ।
পাশাপাশি, তাঁরা দাবি করেন অবিলম্বে ওই দুই কর্মীর বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে। আর তা যদি না হয় আন্দোলন আরও তীব্র হবে। খাদ্য ভবন অচল হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় আগামীদিনে খাদ্য ভবনের সকল কর্মীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বিক্ষোভ চলাকালীনই তৃণমূলপন্থী সরকারি কর্মীরাও বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ যে দাবি করছে তাতে রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু তাদের সংগঠন সেটা করতে দেবে না।
সম্প্রতি একটি অভিযোগ উঠেছিল, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা হোয়াটসঅ্যাপে আলোচনা করেছেন যে, খাদ্যভবনের আধিকারিকদের ঘেরাও-র পাশাপাশি খাদ্যভবন অচল করে দিতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ মারফত এই মেসেজ খাদ্য ভবনের প্রায় সকল কর্মচারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে তা অস্বীকার করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ডিএ আন্দোলনের সাথে যুক্ত খাদ্য ভবনের এক কর্মচারী জানান, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে এই ধরণের কোনো মেসেজ করা হয়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
