২ কোটির আর্থিক তছরুপের অভিযোগ! যৌথ মঞ্চের সদস্যদের আগাম জামিন বিচারপতি গাঙ্গুলির বেঞ্চের
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ সহ মোট ৮ জনকে আগাম জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ৮ সদস্যকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। তাঁরা সকলে সরকারি কর্মচারী হওয়ায় এই একটি মাত্র শর্তে আগাম জামিন দেওয়া হলো।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেবপ্রসাদ হালদার নামে এক সরকারি কর্মী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বিরুদ্ধে আর্থিক কারচুপির অভিযোগ আনে। গত ১৯ মে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ১৫ জন সদস্যের নাম ও ফোন নম্বর উল্লেখ করে প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে চিঠি পাঠান তিনি।
চিঠিতে বলা হয়, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ দিল্লিতে ধর্না দেওয়ার সময় একটি ধর্মীয় সংগঠনকে প্রায় ২ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছিল। যার সঠিক কোনো হিসেব মেলেনি। চিঠিটি পাঠানো হয় রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য, রাজ্য পুলিশের ডিআইজি সিআইডি, ময়দান থানার পুলিশ কর্তা, কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফোর্ট উইলিয়ামের কমান্ড্যান্টের কাছে।
ওই চিঠিতে মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এবং কোষাধ্যক্ষ শৈবাল সরকারের গ্রেফতারিও দাবি করেন দেবপ্রসাদ হালদার। বাকিদের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের আবেদন জানান তিনি। দেবপ্রসাদ হালদারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো দেবপ্রসাদবাবুর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। তিনি কাজ করেন ক্যামাক স্ট্রিটে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক সদস্য বলেন, প্রাথমিক অডিট করা হয়েছে। আমাদের সাথে যুক্ত ৪২ টি সংগঠনকেই সেই অডিটের কপি দেওয়া হয়েছে। অডিট রিপোর্ট দেখে সকলেই সন্তুষ্ট। এরপরে প্রফেশনাল অডিটরকে দিয়ে অডিট করানো হবে। কোনও আর্থিক তছরুপ হয়নি। ২ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ তোলা হলেও অডিট রিপোর্টে দেখা গেছে চাঁদা হিসেবে ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা উঠেছে আর সমস্ত হিসেবটাই রয়েছে।
পাশাপাশি তাঁরা আরও জনান, ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা এক হয়ে আন্দোলন করছেন। এই আন্দোলন ভেঙে দেওয়ার জন্যই বিভিন্ন চক্রান্ত চালানো হচ্ছে। তবে যৌথ মঞ্চ পিছিয়ে যাবে না। নিজেদের হকের দাবিতে তাঁরা লড়বে।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

