

এখন শহর কলকাতায় বেশ জনপ্রিয় রুফটপ রেস্তরাঁ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে কফি বা খাবার খেতে পছন্দ করেন অনেকে। সেকারণেই শহরে অলিতে গলিতে গজিয়ে উঠেছে এই রুফটপ রেস্তোরাঁ। তবে এবার দুঃসংবাদ রুফটপ প্রেমীদের। কলকাতায় বন্ধ হচ্ছে সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁ। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি শহরে একাধিক হোটেল, রেস্তোরাঁয় আগুন লাগার ঘটনার পর এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে বড়বাজারের হোটেলে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী আচমকা যান পার্ক স্ট্রিটের ম্যাগমা হাউসে। অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এরপরেই শহরের সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশ দেয় কলকাতা পুরসভা।
শুক্রবারই কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সিঁড়ির মত ছাদও কারও একার নয়। বিক্রি করা যাবে না। এমনকি ছাদ ব্যবসার কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এনিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “ছাদে চলা রেস্তরাঁগুলি বন্ধ করতে হবে। নিচে আগুন লাগলে মানুষ যাতে ছাদে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারে। সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত”।
জানা গেছে, ইতিমধ্যেই রেস্তোরাঁ বন্ধের নোটিশ পাঠানো হয়েছে মালিকদের কাছে। এরপরও তা বন্ধ না হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে পুরসভার তরফ থেকে। এছাড়া কিছুদিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত বৈঠকও হবে বলে সূত্রের খবর। সেখানে শহরের বিভিন্ন হোটেলগুলির অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কীভাবে ঢেলে সাজানো যায়, তা নিয়েই আলোচনা হবে।
উল্লেখ্য, বড়বাজারের হোটেলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এতো মৃত্যুর জন্য অব্যবস্থাকেই দায়ী করা হচ্ছে। অনেকের দাবি, ছাদের সিঁড়ি বন্ধ থাকায়, অনেকেই সেখান দিয়ে নেমে প্রাণ বাঁচাতে পারেননি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন