

বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমের হয়ে ভোট চাইলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। নিজের আবেদনে তৃণমূল-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেছেন প্রবীণ অভিনেতা। ভোটারদের গভীরভাবে ভাবনাচিন্তা করে, তারপর তাঁদের মূল্যবান ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, বালিগঞ্জ বিধানসভার ভোটারদের সামনে খুব স্পষ্টভাবে দুটো পছন্দ রয়েছে। হয় তাঁরা নিজেদের জন্য সংবেদনশীল, মানুষের জন্য কাজ করতে দায়বদ্ধ এরকম কাউকে বেছে নেবেন। নইলে সুযোগসন্ধানী, রং বদলকারী, সমাজে বিদ্বেষ ছড়ানো কাউকে বাছবেন।
বালিগঞ্জের সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের ভাইঝি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রচারে না এলেও ভিডিও বার্তায় ভাইঝির হয়ে ভোট চেয়েছেন তিনি। বার্তায় তিনি বলেছেন, "আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নই। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বোধ থেকে বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে সায়রা শাহ হালিমকে সমর্থন করার জন্য আবেদন করছি। সায়রা আমার ভাইয়ের মেয়ে। আমি জন্ম থেকেই তাঁকে জানি। এই পারিবারিক সম্পর্ককে একপাশে সরিয়ে রেখে আমি বলছি সায়রাকে আমি সবসময় এক সৎ, সাহসী, সংবেদনশীল এবং দায়বদ্ধ মানুষ হিসেবে দেখে এসেছি। সবসময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী তিনি। বিভিন্ন সামাজিক অন্যায়ের সঠিক সমালোচক তিনি এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার। বহু সমাজসেবামূলক কাজে তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি এবং তাঁর স্বামী (ফুয়াদ হালিম) দরিদ্র মানুষের জন্য বহু দিন ধরে ডায়ালিসিস ক্লিনিক চালিয়ে যাচ্ছেন।"
এরপর তিনি বলেন, "বালিগঞ্জ বিধানসভার ভোটারদের কাছে চয়েস খুব স্পষ্ট। আপনারা কি এমন কাউকে আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে চান যে সংবেদনশীল, সহমর্মী এবং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আপনাদের জন্য কাজ করবেন? নাকি রঙ বদলানো, সুযোগসন্ধানী এমন কাউকে বেছে নেবেন যিনি সমাজে বিদ্বেষ ছড়ান। ভোট দিন এবং ভোট দেওয়ার আগে এই বিষয়গুলো গভীরভাবে চিন্তা করুন।"
নাসিরউদ্দিন শাহের স্ত্রী অভিনেত্রী রত্না পাঠকও ভিডিও বার্তায় সায়রা শাহ হালিমের জন্য ভোট চেয়েছেন। শনিবার এক ভিডিও বার্তায় রত্না পাঠক বলেছেন, "গত কয়েক বছরে দেশের সব অংশে হিংসা এবং ঘৃণার রাজনীতি ছড়িয়ে পড়েছে, যা আমাদের দেশের ভবিষ্যতের পক্ষে আশঙ্কার। অন্যদিকে যুব সমাজের একটা অংশ আবার রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন। যেমন সায়রা শাহ হালিম, যিনি প্রথম নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। আমি তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। তিনি পরিশ্রমী, উৎসাহী। তাঁকে ভোট দিন যাতে তিনি বিধানসভায় যেতে পারেন এবং যুবসমাজের জীবনে বদল আনতে পারেন।’’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন