
টেটের প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলো। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলার শুনানির সম্ভাবনা। সোমবার বেলা ১২ টায় শুনানির কথা থাকলেও তা বিশেষ কারণে পিছিয়ে যায়।
রাজ্যে টেট জট কিছুতেই কাটতে চাইছে না। ফের একবার থমকে যেতে পারে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এবার পর্ষদ থেকে প্রকাশিত নয়া বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করলেন ২০১৪ ও ২০১৭ টেট উত্তীর্ণ বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, আমরা যারা টেট উত্তীর্ণ হয়েছি তারা কীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করব? আমাদেরকে তো টেট পাসের নথি বা শংসাপত্রই দেওয়া হয়নি। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। শংসাপত্র পেশ করলে তাতে ৫ নম্বর পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা ৫ নম্বর থেকে বঞ্চিত হব। তাঁরা জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদনও জানান।
অন্যদিকে, সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি বলেন, টেট পরীক্ষার সময় ৬ টি প্রশ্ন ভুলের দায় পর্ষদকেই নিতে হবে। এর জন্য চাকরিপ্রার্থীরা কেন ভুক্তোভুগী হবে? যাঁরা দুর্নীতি করেছেন তারাই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেবেন। চাকরিপ্রার্থীদের বয়স পেরিয়ে গেলেও ইন্টারভিউতে যদি পাস করেন তাহলে পর্ষদকে চাকরি দিতেই হবে।
২০১৬-র নির্দেশিকা মেনেই নিতে হবে ইন্টারভিউ। এর রিপোর্ট ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে আদালতে। তিনি এও বলেন যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এখন দুর্নীতির জন্য বিখ্যাত।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন