

অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন গার্ডেনরিচের পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার খানের পুত্র আমির খান। শুক্রবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের একটি দল। গত ১০ সেপ্টেম্বর তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আগামী শনিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে।
শনিবার সকালে একজন সিটি পুলিশের আধিকারিক জানান, কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকার শাহী আস্তাবল লেনের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের সময় পলাতক ছিলেন আমির খান। তবে, পুলিশ ফোনের টাওয়ারের লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁকে খোঁজা শুরু করে। কিন্তু অভিযুক্ত ক্রমাগত এক শহর থেকে অন্য শহরে পালিয়ে বেড়ানোর কারণে সন্ধান প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হয় পুলিশ।
এরপর তাঁকে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং ট্রানজিট রিমান্ডের মাধ্যমে তাঁকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে নগর পুলিশের গ্রেফতারকারী দল। তবে আমিরের গ্রেপ্তারির সঠিক সময় এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করেনি কলকাতা পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ওই এফআইআরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪৬৮, ৪৭১, এবং ৩৪ ধারায় প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ-সহ একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ নগদ ছাড়াও, গত ১০ সেপ্টেম্বর নিসারের বাড়ি থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং একটি ডায়েরিও উদ্ধার করেছে ইডি।
ই-নাগেটস নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ চালু করেছিলেন আমির খান। যার ডিজাইন মূলত জনসাধারণকে প্রতারণা করার জন্য তৈরী করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, অ্যাপটি চালু করার পর ব্যবহারকারীদের কমিশন দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। জনসাধারণের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রতারণা করার পর, অন্য একটি অজুহাতে উল্লিখিত অ্যাপ থেকে হঠাৎ করে জনগনের প্রাপ্য অর্থ প্রত্যাহার করা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি, প্রোফাইল সহ সমস্ত তথ্য সেই অ্যাপের সার্ভার থেকেও মুছে ফেলা হয়।
- with IANS inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন