SLST: 'মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতা কবে ভাঙবে?' - ধর্নার ১০০০ দিনে মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের

People's Reporter: চুল কেটে ফেলার পর রাসমণি পাত্র জানান, আর কতদিন আমাদের পথে বসে থাকতে হবে? ১০০০ দিনটা কিন্তু কম নয়। পরিবার, স্বামী-সন্তান ছেড়ে আন্দোলন করছি। রাজ্য সরকার কি দেখতে পাচ্ছে না?
মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ
মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদছবি - নিজস্ব

শনিবার ২০১৬-র এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না ১০০০তম দিনে পড়লো। আর এই দিনকে ইতিহাসের পাতায় লিখে রাখার জন্য প্রতিবাদের অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন তাঁরা। ধর্না মঞ্চেই এক মহিলা এবং এক পুরুষ চাকরিপ্রার্থী চাকরি না পাওয়ার যন্ত্রণায় ন্যাড়া হলেন।

১০০০ দিন ধরে ঘর-বাড়ি ত্যাগ করে শুধুমাত্র মেধাতালিকার ভিত্তিতে চাকরির আশায় রাস্তায় ধর্না দিচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। পরীক্ষা দিয়েছেন, ইন্টারভিউ দিয়েছেন - সবকিছুতেই পাস করেছেন। তবুও নিয়োগ হয়নি। শনিবার ১০০০তম দিনের জন্য একাধিক পদ্ধতিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা। এদিন ধর্না মঞ্চেই একজন মহিলা ও একজন পুরুষ চাকরিপ্রার্থী নিজেদের মাথার সব চুল কেটে ফেললেন। ওই চুল ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য দান করবেন বলে ঠিক করেছেন তাঁরা।

পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের ইতিহাসে নিজের হকের চাকরি পেতে কোনো চাকরিপ্রার্থী এইভাবে প্রতিবাদ জানাবে তা হয়তো কেউ ভাবতেই পারেননি। মাথার সব চুল কেটে ফেলার পর রাসমণি পাত্র জানান, "আর কতদিন আমাদের পথে বসে থাকতে হবে? ১০০০ দিনটা কিন্তু কম নয়। পরিবার, স্বামী-সন্তান ছেড়ে আন্দোলন করছি। রাজ্য সরকার কি দেখতে পাচ্ছে না? অযোগ্যরা এখনও চাকরি করছে। রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে সকলে আমাদের সমস্যা সমাধান করুন"।

নিজের চুল ফেলে দিয়ে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই চাকরিপ্রার্থী। তিনি আরও বলেন, "আমার কাছে দৈহিক সৌন্দর্য্যটা সৌন্দর্য্য নয়। চাকরি করে জীবনে বেঁচে থাকাটাই আমার কাছে সুন্দর। চাকরি না পেলে আমরা সবাই মরে যাবো। ইতিমধ্যেই একজন আন্দোলন করতে করতে মারা গেছেন। কারুর বাবা মারা গেছেন আবার কারুর মা মারা গেছেন। আমরা নিজেদের দুঃখ ভাগ করে নিচ্ছি। কিন্তু আর কত দিন? মুখ্যমন্ত্রী নীরব। সব জানার পরেও চুপ করে আছেন"।

অন্য এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, "আমরা যোগ্য প্রমাণিত হওয়ার পরেও ১০০০ দিন ধরে রাস্তায় বসে আছি। বিচারব্যবস্থা প্রমাণ করে দিয়েছে আমরা যোগ্য। সরকারও মেনে নিয়েছে আমরাই যোগ্য। কিন্তু তারপরেও আমাদের চাকরি হয়নি। আগামী দিনে এই দিন কালো দিবস হিসেবে পালন হওয়া উচিত। এই দিন সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবুও আমরা হার মানবো না। আমাদের লড়াই চলতেই থাকবে"।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৫ মার্চ থেকে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু এখনও তাঁদের দাবি আদায় হয়নি।

মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ
ICSE-ISC Exams 2024: প্রকাশিত হল সিআইএসসিই বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা সময়সূচি, দেখে নিন
মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ
Murshidabad: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ১১ শিশুমৃত্যুর ঘটনায় উঠছে রেফার প্রসঙ্গ

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in