২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়ার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জাকিয়া আহ্সান জাফরি। একাধিক স্থগিতাদেশের পর বুধবার এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়েছে বিচারপতি এ এম খানউইলকর, বিচারপতি দিনেশ মহেশ্বরী এবং বিচারপতি সি টি রবি কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে।
জাকিয়া জাফরি, কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির বিধবা। ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটিতে হওয়া দাঙ্গায় যে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের মধ্যে একজন এহসান জাফরি। গত প্রায় ২০ বছর ধরে ন্যায়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জাকিয়া জাফরি।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট ক্লোজার রিপোর্ট জমা দিয়ে তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ ৬৩ জনকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। সিট জানিয়েছিল, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো "বিচারযোগ্য প্রমাণ নেই।"
জাফরি আবেদনে জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রচুর প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তা উপেক্ষা করে কোনোরকম তদন্ত ছাড়াই ক্লিনচিট দিয়েছে সিট। সুপ্রিম কোর্টে জাফরির হয়ে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বল। বেঞ্চের সামনে তিনি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত মর্যাদা পাওয়ার জন্য বা কোনো একজনকে দোষী সাব্যস্ত করতে এই মামলা করেননি জাফরি। তাঁর লড়াই "আইন-শৃঙ্খলা, প্রশাসনিক ব্যর্থতা" নিয়ে।
সিব্বল বলেছেন, "পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে মানুষ গণহত্যার শিকার হয়েছিল। আদালত যদি বিষয়টি না দেখে তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? আদালতের নির্দেশের ওপর কোনো রাষ্ট্রের প্রজাতন্ত্র গড়ে ওঠে বা ধ্বংস হয়। আমি শুধু চাই বিষয়টির তদন্ত করা হোক। এখানে আইন-শৃঙ্খলা এবং জনগণের অধিকারের বিষয় ছাড়া আর কিছুই নেই।" তাঁর দাবি, গুজরাটে অনেক বড় ষড়যন্ত্র হয়েছে, যার মধ্যে আমলারাও জড়িয়ে রয়েছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা দিয়ে সহিংসতা ছড়ানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২৩,০০০ পৃষ্ঠার একটি ফাইলে সমস্ত প্রমাণের উল্লেখ রয়েছে, কিন্তু সেদিকে কেউ নজর দেয়নি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।