গোরুর দুধ, গোমূত্র এবং গোবরের ঐতিহ্যবাহী ব্যবহারের প্রচারের লক্ষ্যে গোরু গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হলো গুজরাট টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি বা জিটিইউ-তে। গোরু এবং গো-জাত পদার্থের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে এখানে।
রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ দ্বারা গঠিত কামধেনু চেয়ারের অংশ হিসেবে শনিবার ভার্চুয়ালি এই গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল আচার্য্য দেবব্রত।
গোমূত্র এবং গোবর নিয়ে গবেষণা এগিয়ে যাওয়ার জন্য গ্রামীণ মহিলাদের এই কাজে নিয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে জিটিইউ। গোবর ও গোমূত্র নিয়ে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করবেন মহিলারা।
জিটিইউ-র ভাইস-চ্যান্সেলর নবীন শেঠ জানিয়েছেন, "গোরু নিয়ে অনেক সংবেদনশীল কথা প্রচলিত রয়েছে সমাজে। এগুলোর কোনোকিছুরই বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি। আমরা বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে সনাতন জ্ঞান প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিচ্ছি।"
জিটিইউ-র গ্রাজুয়েট স্কুল অফ ফার্মেসির প্রফেসর ডঃ চৌহান জানিয়েছেন, "বৈজ্ঞানিকভাবে গোরুর মাইক্রোবায়াল ফ্লোরাতে কাজ করাই হল গোরু গবেষণা কেন্দ্রের লক্ষ্য। গোমূত্রে প্রচুর পরিমাণে প্যাথোজেন এবং নন-প্যাথোজেন রয়েছে। গবেষণা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই প্যাথোজেনগুলিকে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। জমিতে সার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে এটা।"
জিটিইউ-র এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজ্যপাল দেবব্রত।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।