

লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চালু করল কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে একটি বিবৃতি জারি করল সিপিআইএম পলিটব্যুরো। তাদের দাবি, সিএএ বাতিলের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে।
মঙ্গলবার সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে সিএএ বিরোধিতা করে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেই বিবৃতি অনুযায়ী, ভোটের আগে ধর্মীয় বিভাজন এবং মেরুকরণের লক্ষ্যে এই আইনকে ব্যবহার করতে চায় বিজেপি। এই আইনের সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে এনআরসি তৈরির সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছে পলিটব্যুরো।
সিপিআইএম যে বরাবরই সিএএ বিরোধিতা করে আসছে, সেই অবস্থান স্পষ্ট করে এদিন পলিটব্যুরো জানিয়েছে, ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থার বরাবর বিরোধিতা করেছে দল। পলিটব্যুরোর মতে, নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়ায় রাজ্য সরকারকে একেবারে বাইরে রাখা হয়েছে। বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলিকে বাদ দেওয়ার জন্য এই ব্যবস্থা।
অন্যদিকে, মঙ্গলবারই কেরালার মুখ্যমন্ত্রী এবং পলিটব্যুরো সদস্য পিনারাই বিজয়ন স্পষ্ট করেছেন, কেরালা এই আইন প্রয়োগ করবে না।
পলিট ব্যুরোর এই নির্দেশ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে সীতারাম ইয়েচুরি লেখেন, “লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে, মোদী সরকার সিএএ-এর অধীনে নিয়মগুলিকে অবহিত করে। এটি স্পষ্টতই সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে আক্রমণ করা এবং নির্বাচনে জেতার লক্ষ্য।“
ইয়েচুরি আরও দাবি করেন, “নিয়মগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে রাজ্য সরকারগুলিকে তাদের রাজ্যে নাগরিকত্বের জন্য ব্যক্তিদের সনাক্তকরণ এবং তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া যায়। এটি স্পষ্টতই সেই সমস্ত রাজ্য সরকারগুলিকে বাদ দেওয়ার জন্য করা হয়েছে যারা CAA-এর বিরোধিতা করেছে।“
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন