
ভারতীয় রেল এবং কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করলো দিল্লি হাইকোর্ট। গত সপ্তাহে নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনার উল্লেখ করে বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গাদেলা এই সমালোচনা করেন। আগামী ২৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এদিন বিচারপতিরা জানতে চান, যখন কোনও কামরায় এত যাত্রীকে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয় তখন কেন অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি করে ভারতীয় রেল? এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারতীয় রেলের কাছে জবাব চেয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, "যদি বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হত... অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করা হত... তাহলে এই পরিস্থিতি (দিল্লি রেলস্টেশনে পদদলিত হওয়া) এড়ানো যেত"।
এদিন ভারতীয় রেলে এই ধরণের দুঃখজনক ঘটনা আটকাতে এবং প্রতি কামরায় যাত্রী সংখ্যা নির্দিষ্ট করার দাবি জানিয়ে করা এক জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছিল দিল্লি হাইকোর্টে। ওই মামলায় দাবি করা হয় যারা রেলের নিয়ম না মেনে এই ধরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তাদের ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হোক।
এদিন আদালত জানতে চায়, এখনও পর্যন্ত জারি থাকা আইন বলবত করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? যারা অনুমতি ছাড়া কামরায় প্রবেশ করেছে তাদের বিরুদ্ধেই বা কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
আদালত জানিয়েছে, "ভিড়ের দিনগুলিতে" রেলওয়ে যুক্তিসঙ্গত কারণে অনুমোদিত সীমার চেয়ে বেশি আসন ব্যবস্থা করতে পারে, কিন্তু অন্যথায় ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশি আসনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এটিকে "অবহেলা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে"। "কেন বিক্রি হওয়া টিকিটের সংখ্যা বার্থের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেল? এটি একটি সমস্যা।"
আদালতের তীব্র সমালোচনার মুখে, রেলওয়ের পক্ষে উপস্থিত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতের নির্দেশ মেনে নেন এবং জানান রেলওয়ে বোর্ড এই পরিস্থিতির বিষয়ে সব দিক খতিয়ে দেখবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন