

আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন সিবিআই-কে ফের তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আজকের শুনানিতে সিবিআইয়ের তরফ থেকে ‘ফরেনসিক নমুনা’-কে হাইলাইট করা হয়েছে। কে এই নমুনা সংগ্রহ করেছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বলে উল্লেখ করেছেন সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আদালতে উপস্থিত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি জানিয়েছেন, “আমাদের যে ফরেনসিক রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল সেখানে বলা হয়েছে সকাল সাড়ে ৯টায় চিকিৎসকের দেহ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। তাঁর জিন্স এবং নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস পাশেই পড়েছিল। তাঁর দেহে ক্ষতচিহ্ন ছিল। তারা নমুনা সংগ্রহ করে পশ্চিমবঙ্গের সিএফএসএলে পাঠিয়েছিল। সিবিআই ওই সব নমুনা এইমস বা অন্য কোনও ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
তুষার মেহতা আরও বলেন, ঘটনাস্থলে অনেকে প্রবেশ করেছিল। মেয়েটিকে নগ্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। আর ফরেনসিক এই রিপোর্ট দিচ্ছে। তাই কে বা কারা নমুনা সংগ্রহ করেছে, সেই প্রশ্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সিবিআইয়ের তরফ থেকে বলা হয়, এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রথম ৫ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা ৫ দিন পরে গিয়েছি। তখন অনেক কিছু পাল্টে গিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “ওপেন কোর্টে এমন কিছু মন্তব্য করতে চাই না, যাতে তদন্তে প্রভাব পড়ে। তদন্তের আবার স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিন।”
অন্যদিকে কর্মবিরতি চালানো জুনিয়র ডাক্তারদের মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার মধ্যে যদি তাঁরা কাজে না ফেরেন, তাহলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে পারবে রাজ্য, নির্দেশ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন