Tamilnadu: ৩ বছর ধরে বিল আটকে কেন? শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল
তিন বছর ধরে রাজ্যপাল কী করছেন? সুপ্রিম কোর্ট সোমবার তামিলনাড়ু বিধানসভায় পাস করা বিলগুলিতে সম্মতি দেওয়ার ক্ষেত্রে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, তামিলনাড়ু সরকারের আবেদনে শীর্ষ আদালতের নোটিশ জারি করার পরে রাজ্যপাল তার সম্মতির জন্য ১২টি বিলের মধ্যে ১০টি ফেরত দিয়েছেন।
বেঞ্চ আরও জানতে চায়, “এই বিলগুলি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মুলতুবি রয়েছে। এর অর্থ হল আদালত নোটিশ জারি করার পরে রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিন বছর ধরে কী করছিলেন তিনি? রাজ্যপাল কেন সরকারের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন?”
শুনানির সময়, কেন্দ্রের সর্বোচ্চ আইন আধিকারিক অ্যাটর্নি জেনারেল আর. ভেঙ্কটারমানি বলেন, বর্তমান গভর্নর, আর এন রবি নভেম্বর ২০২১ থেকে কার্যভার গ্রহণ করেছেন।
যার উত্তরে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন: "বিষয়টি কোনও নির্দিষ্ট রাজ্যপাল দেরি করেছেন কিনা তা নিয়ে নয়। এটা সাধারণভাবে সংবিধানের ২০০ তম অনুচ্ছেদের অধীনে অর্পিত সাংবিধানিক কার্য সম্পাদনে রাজ্যপালের দ্বারা বিলম্ব হয়েছে কিনা সেই বিষয়।”
শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া এক লিখিত নোটে, অ্যাটর্নি জেনারেল ভেঙ্কটরামানি জানান যে রাজ্যপাল ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে উপস্থাপিত ১৮১টির মধ্যে ১৫২টি বলে সম্মতি দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, পাঁচটি বিল রাজ্য সরকার প্রত্যাহার করেছে, নয়টি রাষ্ট্রপতির বিবেচনাধীন। আরও বলা হয় যে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো পাঁচটি বিল "প্রক্রিয়াধীন" বলে জানানো হয়েছে।
এদিন শীর্ষ আদালতে জানানো হয়, শনিবার পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্যপালের ফেরত পাঠানো ১০টি বিল তামিলনাড়ু বিধানসভার এক বিশেষ অধিবেশনে পুনরায় গৃহীত হয়েছে। এরপর আদালত ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি স্থগিত করে এবং বলা হয় "বিধানসভা আবার বিলগুলি পাস করেছে এবং রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছে। দেখা যাক রাজ্যপাল কী করেন।"
সংবিধানের ২০০ অনুচ্ছেদ অনুসারে, যদি কোনও বিল সংশোধন সহ বা ছাড়াই আবার পাস করা হয় এবং সম্মতির জন্য রাজ্যপালের কাছে পেশ করা হয় তবে তাকে তার অনুমোদন দিতেই হবে।
১০ নভেম্বর, কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ জারি করার সময়, সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে তামিলনাড়ু সরকারের দায়ের করা আবেদনটি "গুরুতর উদ্বেগের বিষয়"।
সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীনে দায়ের করা রিট পিটিশনে, তামিলনাড়ু সরকার দাবি করেছে যে রাজ্যপাল নিজেকে বৈধভাবে নির্বাচিত রাজ্য সরকারের "রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী" হিসাবে অবস্থান নিয়েছেন।
এতে আরও বলা হয় যে, ২-৩ বছর আগে পাস হওয়া বিলগুলি এখনও রাজ্যপালের কাছে আটকে রয়েছে, যিনি দুর্নীতির মামলায় জড়িত মন্ত্রী বা বিধায়কদের বিচারের জন্য অনুমোদন দিচ্ছেন না বা বন্দীদের মুক্তি সংক্রান্ত ফাইলগুলিতে সই করছেন না।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

