

রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া বা WFI-র সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন দেশের কুস্তিগীররা। তাঁর শাস্তির দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে গতকাল থেকে ধর্নায় বসেছেন তাঁরা। তাঁদের এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে আজ ধর্না স্থলে গেলেন সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাত।
যদিও ধর্না মঞ্চে ওঠেননি বৃন্দা কারাত। তিনি মঞ্চে ওঠার আগেই টোকিও অলিম্পিক্সে পদকজয়ী কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া হাত জোড় করে তাঁকে মঞ্চে উঠতে নিষেধ করেন। বৃন্দা কারাতকে পুনিয়া অনুরোধ করে বলেন, "আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি ম্যাডাম, দয়া করে নীচে চলে যান। এটাকে রাজনৈতিক মঞ্চ বানাবেন না। এটা অ্যাথলিটদের প্রতিবাদ।"
এরপর ধর্না মঞ্চের কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সিপিআইএম নেত্রী। সেখানেই এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে কুস্তিগীরদের প্রতিবাদ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "যে কোনও ধরনের যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা পাশে আছি। সরকারকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাতে এখানে এসেছি আমরা।"
তিনি আরও বলেন, "এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের দেশের কুস্তিগীরদের ধর্নায় বসতে হচ্ছে। তাঁদের ধর্নায় বসতে বাধ্য করা হচ্ছে। কোনও মহিলা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুললে, ক্ষমতায় যে সরকারই থাকুক না কেন, তাদের উচিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ক্ষমতা থেকে অপসারিত করা।"
ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন এশিয়ান গেমস এবং কমনওয়েলথ গেমসের স্বর্ণপদক জয়ী ভিনেশ ফোগাট সহ একাধিক মহিলা কুস্তিগীর। বজরং পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাট, টোকিও অলিম্পিক্সে পদকজয়ী দীপক পুনিয়া, অংশু মালিক সহ প্রায় ২০০ জন কুস্তিগীর বুধবার থেকে যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেছেন।
কারাত যখন ধর্না স্থলে আসেন, তখন সরকারের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে আসেন অলিম্পিয়ান ববিতা ফোগত। এই প্রাক্তন কুস্তিগীর এখন হরিয়ানায় ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের অংশ। আন্দোলনকারীদের তিনি বলেন, "আমি প্রথমে একজন কুস্তিগীর। বিজেপি সরকার কুস্তিগীরদের সাথে আছি। আজই যাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয় এই বিষয়ে, আমি নিজেই তা নিশ্চিত করবো। আমি একজন কুস্তিগীর এবং সরকারেরও অংশ, তাই এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করা আমার দায়িত্ব। আমি আমার ক্যারিয়ারেও এরকম হয়রানির অনেক অভিযোগ শুনেছি। ধোঁয়া আছে মানে আগুন অবশ্যই আছে।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন