

নয়া সংসদ ভবনের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে! সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। উদ্বোধন হওয়ার দেড় বছরের মধ্যে হাজার কোটি ব্যয়ে তৈরি দেশের নতুন সংসদ ভবনের এমন অবস্থা হল কিভাবে? তা নিয়েই সকলে প্রশ্ন তুলছেন। রাম মন্দিরের পর সংসদ ভবনের এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে কেন্দ্রের শাসকদল। এই ঘটনায় বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
দিল্লিতে লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। ইতিমধ্যেই ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারী বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হাজার কোটি টাকা দিয়ে তৈরি নয়া সংসদ ভবন। জল পড়ার ভিডিওটি এক্স মাধ্যমে শেয়ার করেছেন ইন্ডিয়া মঞ্চের নেতারা। তামিলনাড়ুর কংগ্রেস সাংসদ মণিক্কাম ঠাকুর লেখেন, "বাইরে পেপার লিকেজ আর ভিতরে ওয়াটার লিকেজ। নতুন সংসদ ভবনের যে লবিটি রাষ্ট্রপতি ব্যবহার করেন সেখানে ছাদ থেকে জল পড়ছে।" ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ছাদ থেকে জল পড়ছে এবং মেঝের উপর একটি বালতি রাখা আছে। (যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)
ভাইরাল হওয়া ভিডিও শেয়ার করে সমাজবাদী পার্টির প্রধান তথা সাংসদ অখিলেশ যাদব লেখেন, "এই নতুন সংসদের চেয়ে পুরনো সংসদ ভালো ছিল, যেখানে পুরনো সংসদ সদস্যরাও এসে দেখা করতে পারতেন। চলুন না সেই পুরনো সংসদে ফিরে যাই, যতক্ষণ পর্যন্ত কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা সংসদ ভবনে জল পড়ার প্রক্রিয়া চলছে"।
এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আপ-এর তরফ থেকেও এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিও শেয়ার করে সমালোচনা করা হয়েছে।
যদিও লোকসভা সচিবালযয়ের তরফ থেকে এই ঘটনাকে অত্যন্ত ছোট ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের ২৮ মে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হয়। ১২০০ কোটির বেশি টাকা খরচ করে এই ভবন নির্মাণ করা হয়। ১৩ একর জমি জুড়ে চার তলা সংসদ ভবন তৈরি করে টাটা গোষ্ঠী। দেড় বছরের মধ্যেই সেই ভবনের ছাদ ফুটো হয়ে জল পড়ায় রীতিমতো অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য্য সত্যেন্দ্র দাস স্বয়ং এই অভিযোগ করেছিলেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন