এই প্রথম দলীয় সম্মেলনে থাকতে পারবেন না সিপিআইএম–র প্রবাদপ্রতিম নেতা ভি এস অচ্যুতানন্দন। ৯৮ বছর বয়সী কমিউনিস্ট নেতা সম্প্রতি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বয়সজনিত কারণে শারীরিক অবস্থার অবনতিও হয়েছে। প্রসঙ্গত, আগামী ৪ মার্চ কোচিতে সিপিআইএম-র ২৩ তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হবে।
তিনি ২০০৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কেরালার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি তিনবার কেরল বিধানসভার বিরোধী দলনেতার ভুমিকাও সামলেছেন। ১৯৬৪ সালে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বেরিয়ে এসে সিপিআইএম গঠন করেছিলেন যে কমিউনিস্ট নেতারা, তাঁদের মধ্যে একমাত্র জীবিত সদস্য তিনি।
২০২০ সালে কোভিড মহামারী প্রাদুর্ভাবের পর থেকে তিনি বাড়ির ভিতরেই রয়েছেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁকে প্রচার করতে দেখা যায়নি। ২০১৬ সালে তিনিও কেরালার বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু দল পিনরাই বিজয়নকে মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেছিল। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি ভি এস। বর্তমানে তিনি সংসদীয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
একজন মিডিয়া সমালোচক বলেছেন, তিনি সম্ভবত মনে করেছিলেন যে তাঁকে আরও একটি বছর দেওয়া হবে এবং তারপরে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়তে হবে। কিন্তু এটি ঘটেনি। পরিবর্তে তাঁকে মন্ত্রীসভায় পদ দেওয়া হয়েছিল এবং প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন-কেরালার চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন।
সূত্র অনুসারে, বর্তমানে হুইল চেয়ারে বসেই তাঁর দিন কাটে। শারীরিক কারণে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে অবসর জীবন কাটালেও প্রতিদিন তিনি নিয়ম করে খবরের কাগজ পড়েন এবং টিভি দেখেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল।
মহামারীর সময় সাধারণত তাঁর বাড়িতে কেউ না এলেও তাঁর ছেলে অরুণ কুমারের কাছ থেকে নিয়মিত তাঁর সম্বন্ধে খোঁজখবর রাখতেন তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা। আলাপুঝা জেলায় নিজের বাড়িতে তিনি ফিরতে চাইলেও চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক অবস্থার কারণে তাঁকে থিরুবনন্তপুরম ছাড়তে নিষেধ করেছেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।