দলিত নির্যাতন থেমে নেই যোগী রাজ্যে। শিক্ষকদের কলসী থেকে জল খাওয়ার 'অপরাধে' এক দলিত ছাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশে। শুধু তাই নয়, নির্যাতিত ছাত্রীর বাবার সঙ্গে জাতপাত তুলে অপমানজনক শব্দও ব্যবহার করেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক। শনিবার এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মহোবা জেলার ছিখারা গ্রামের এক বুনিয়াদি স্তরের বিদ্যালয়ে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) জিতেন্দ্র সিং অতিরিক্ত বুনিয়াদি শিক্ষা আধিকারিককে এই ঘটনার তদন্ত করে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, শনিবার প্রচণ্ড জল তেষ্টা পাওয়ায় পড়ুয়াদের জন্য রাখা নির্দিষ্ট কুঁজো থেকেই জল খেতে গিয়েছিল দলিত ছাত্রীটি। কিন্তু তাতে জল শেষ হয়ে যাওয়াতে শিক্ষকদের জন্য রাখা কুঁজো থেকে জল খেয়ে নেয় ওই ছাত্রী। এই ঘটনাটি দেখতে পেয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক কল্যাণ সিং তাঁকে মারধর করেন। বাড়িতে পৌঁছে এই ঘটনাটি নিজের বাবা-মাকে জানায় ওই ছাত্রী। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ওই ছাত্রীর বাবা রমেশ কুমার সহ বহু গ্রামবাসীই স্কুলে পৌঁছন। অভিযোগ, প্রতিবাদ জানাতে গেলেও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তাঁদের সঙ্গে জাতপাত তুলে অপমানকর শব্দ ব্যবহার করে দুর্ব্যবহার করেন। এরপরই ছাত্রীর বাবা ও গ্রামবাসীরা দল বেঁধে তহসিলে পৌঁছান এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
মহোবার অতিরিক্ত বিএসএ গৌরব শুক্লা রবিবার বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এদিকে, নির্যাতিত দলিত ছাত্রী জানিয়েছে, এর আগে কখনো তার প্রতি এই ধরণের বৈষম্য করা হয়নি। অন্যদিকে, শিক্ষক কল্যাণ সিং জানান, কলসীতে হাত ঢুকিয়ে গ্লাস দিয়ে জল বের করছিল ওই ছাত্রী। এ জন্য তাকে তিরস্কার করা হয়েছিল। তবে আমি ছাত্রীকে মারধর করিনি।
- with inputs from IANS
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।