

টানা তিন দিন ধরে গণধর্ষণ। গত ২২ এপ্রিল চারজন ব্যক্তি ১৩ বছরের এক নাবালিকাকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় ভোপালে। সেখানে তাকে রেলস্টেশনের কাছে কোনো একটি বাড়িতে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণ করে ওই চার ব্যক্তি।
ঘটনাটি ঘটার পর নির্যাতিতা যখন থানায় অভিযোগ দায়ের করে সেখানেও তার উপর স্টেশন হাউজ অফিসার পাশবিক অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ করে ওই নির্যাতিতা। উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে এই নারকীয় ধর্ষণকাণ্ড ঘটার পরেই গত ২৬ এপ্রিল পালি থানা সংলগ্ন এলাকার সামনে চার অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে ফেলে রেখে পালায়।
পরে তার এক আত্মীয়ের কাছে তাঁকে রাখা হয় এবং গত ২৭ এপ্রিল নির্যাতিতাকে যখন থানায় ডাকা হয় বয়ান দেওয়ার জন্য সেই সময় নির্যাতিতার সাথে ছিলেন না তাঁর আত্মীয়। নাবালিকার অভিযোগ, বয়ান রেকর্ডের সময় একা থাকার সুযোগ নিয়েই আরও একবার তাকে ধর্ষণ করে ওই থানার এসএইচও পালি তিলকধারী।
নির্যাতিতা আরও অভিযোগ করে যে, থানায় ধর্ষণ করার পর ওই পুলিশ আধিকারিক তাকে তার আত্মীয়ের কাছে দিয়ে আসে। গত ৩০ এপ্রিল নির্যাতিতাকে চাইল্ডলাইনের হেফাজতে রাখা হয় কিন্তু প্রথম থেকেই বিষয়টি সম্পর্কে অজ্ঞাত ছিলেন মেয়েটির বাবা-মা। চাইল্ডলাইন বিশেষজ্ঞদের কাছে পুনরায় অভিযোগ জানাবার পর সেখানকার আধিকারিকরা পুলিশ কর্তাদের পুরো ঘটনাটি জানান।
এই ঘটনার পরে অভিযুক্ত চার ধর্ষক এবং পুলিশ আধিকারিকদের নামে এফআইআর দায়ের করেন নির্যাতিতা। ললিতপুরের পুলিশ সুপার নিখিল পাঠকের বক্তব্য অনুযায়ী, এসএইচও তিলকধারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং তিলকধারীসহ বাকি সকল অভিযুক্ত চন্দন, রাজ ভান, হরি শঙ্কর, মহেন্দ্র চৌরাসিয়া ও নির্যাতিতার আত্মীয় গুলাব বাই আহিরওয়ারের বিরুদ্ধে ৩৬৩, ৩৭৬, ৩৭৬বি, ১২০বি এবং পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন