আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং অন্যান্য গৈরিক সংগঠনের আপত্তির জেরে প্রস্তাবিত জনসংখ্যা বিলে কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সূত্র অনুসারে প্রস্তাবিত এই বিল নিয়ে বেশ কিছু আপত্তি জানিয়েছে আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ একাধিক গৈরিক সংগঠন।
সূত্র অনুসারে, যেসব পরিবারের একটি করে সন্তান তাঁদের ইনসেনটিভ দেবার যে পরিকল্পনা প্রস্তাবিত উত্তরপ্রদেশ পপুলেশন (কন্ট্রোল, স্টেবিলাইজেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার) বিল, ২০২১-এ রাখা হয়েছিলো তা বদল করা হতে পারে।
রাজ্যের বিরোধীরা ছাড়াও আরএসএস প্রস্তাবিত এই বিলের বেশ কিছু ধারায় আপত্তি জানিয়েছে এবং সরকারকে তা বদলাতে বলেছে।
এছাড়াও প্রস্তাবিত এই বিল নিয়ে বিজেপিকে সতর্ক করার পাশাপাশি বেশ কিছু সংযোজন করার জন্য বলেছে। ভিএইচপি এর আগে এই বিলকে 'হিন্দু' বিরোধী জানিয়ে সম্পূর্ণ বাতিল করে নতুন বিল অথবা সংযোজন আনার কথা জানিয়েছিলো।
গতকাল এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক জানান, প্রস্তাবিত এই বিলের বিষয়ে আমরা বেশ কিছু পরামর্শ পেয়েছি। বর্তমানে সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এরপরেই প্রয়োজনীয় পরিমার্জন এবং সংশোধন ও সংযোজন করা হবে।
প্রসঙ্গত গত ৯ জুলাই এই খসড়া বিল ওয়েবসাইটে তুলে জনসাধারণের মতামত চাওয়া হয়। ১৯ জুলাই এই সম্বন্ধে মতামত জানানোর শেষ দিন ছিলো। রাজ্য ল কমিশনের চেয়ারম্যান, বিচারপতি এ এন মিত্তাল মঙ্গলবার জানান, কমিশনের ইমেলে এই বিল সম্পর্কে ৮,৫০০ মেলে এসেছে। এর মধ্যে কিছু মেলে প্রস্তাবিত এই আইনের সমালোচনা করা হয়েছে। আবার কিছু মেলে এই আইনের প্রশংসা করা হয়েছে। কমিশন এই সব মেল ডাউনলোড করে পর্যালোচনা করবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, সমস্ত পরামর্শ খতিয়ে দেখা হবে। যদি সেই পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ হয় এবং তা গ্রহণ করা সম্ভব হয় তাহলে তা গৃহীত হবে। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে চূড়ান্ত বিল তৈরি করা এবং সরকারের হাতে তুলে দিতে ১ মাসের বেশি সময় লাগবে।
এই খসড়া বিলের ঘোষণার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানান, ২০২৬ সালের মধ্যে রাজ্যে জন্মহার ২.১ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে এবং ২০৩০ সালের তা নিয়ে যাওয়া হবে ১.৯ শতাংশে।
- with inputs from IANS
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।