বাঁ দিকে আসাদ, ডান দিকে আতিক আহমেদ
বাঁ দিকে আসাদ, ডান দিকে আতিক আহমেদগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন

UP: পুলিশের গুলিতে গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের পুত্র সহ নিহত দুই

উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ-র এডিজি আমিতাভ যশ বলেন, আমাদের এই দলটি আসাদ এবং গুলামকে শেষ দেড় মাস ধরে খুঁজছিল।
Published on

পুলিশি এনকাউন্টারে নিহত হলেন উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের পুত্র আসাদ ও তাঁর সঙ্গী গুলাম। বৃহস্পতিবারই এই ঘটনা ঘটেছে। ঝাঁসির পরীক্ষা বাঁধের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আসাদ এবং তার সঙ্গী উমেশ পাল খুনে অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ঝাঁসিতে এসটিএফ-র সাথে গুলির লড়াই হয় আসাদ ও তাঁর সঙ্গীর। বেশ কিছুক্ষণ লড়াইয়ের পর এসটিএফ-র গুলিতে মৃত্যু হয় ওই দুজনের। দুজনেরই মাথার দাম রাখা হয়েছিল ৫ লক্ষ টাকা।

উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ-র এডিজি আমিতাভ যশ বলেন, আমাদের এই দলটি আসাদ এবং গুলামকে শেষ দেড় মাস ধরে খুঁজছিল। এর আগেও একবার খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল তাদের কিন্তু ৫ মিনিট দেরি হওয়ায় আমরা ধরতে পারিনি।

পুলিশ সুত্রে আরও জানা যাচ্ছে, ঝাঁসির পরীক্ষা বাঁধের কাছে প্রতিদিনের মতো এদিনও চেকিং চলছিল। সেই সময় বাইকে করে আসেন আসাদ ও গুলাম। পুলিশ তাঁদের বাইক থামাতে বললে তাঁরা না থামিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় এসটিএফও।

তাঁদের কাছ থেকে, একাধিক অস্ত্র, নতুন মোবাইল ও একাধিক সিম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। জানা যাচ্ছে, দুজনে ওই এলাকাতেই গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ঘনিষ্ঠ কারুর বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন।

কিছু দিন আগেই সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রাম গোপাল যাদব জানিয়েছিলেন, আতিকের দুই ছেলে উমেশ পাল খুনে অভিযুক্ত। খুব শীঘ্রই আতিক আহমেদের ছেলেকে গুলি করা হবে।

নিহত উমেশ পাল ২০০৫ সালে বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল হত্যাকাণ্ডের একমাত্র সাক্ষী ছিলেন। কিন্তু চলতি বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি তাঁকে এবং তাঁর দুই নিরাপত্তারক্ষীকে প্রয়াগরাজে গুলি করে হত্যা করা হয়। অভিযোগ ওঠে আতিক আহমেদের গ্যাং-এর লোকেরা এই কাজ করেছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি উমেশ পালের স্ত্রী জয়া পাল থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আতিক আহমেদ, তাঁর ভাই আশরাফ, আসাদ এবং গুলামের নামে মামলা দায়ের করে পুলিশ। বিধায়ক খুনের মামলাতেও আতিক আহমেদ অন্যতম অভিযুক্ত।

বাঁ দিকে আসাদ, ডান দিকে আতিক আহমেদ
সাম্প্রদায়িক হিংসায় মৃতের পরিবারের পাশে কংগ্রেস সরকার, ১০ লক্ষ টাকা ও সরকারি চাকরির ঘোষণা

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in