
বরখাস্ত করা হল ফতেপুরের মুখ্য পশুচিকিৎসা আধিকারিক (সিভিও), এস কে তিওয়ারিকে। জেলা শাসকের গোরুর দেখাশোনার জন্য সপ্তাহের প্রতিদিনের জন্য আলাদা পশুচিকিৎসক পোস্ট করার আদেশ জারি করার পরে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিওয়ারির ওই আদেশে সপ্তাহের সাত দিনে দায়িত্ব পালনের জন্য সাতজন পশুচিকিৎসকের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।
চিঠিতে লেখা ছিল: "প্রত্যেক পশু চিকিৎসককে প্রতিদিন দু’বার করে অসুস্থ গোরুটিকে দেখে আসতে হবে এবং সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সিভিওকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে।” এই সঙ্গে ওই নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছিল, কাজে যে কোনও ধরণের শিথিলতা "অমার্জনীয়" হবে।
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ফতেপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অপূর্বা দুবের গোরুটি অসুস্থ ছিলো। দুবে ২০১৩ ব্যাচের একজন আইএএস অফিসার এবং তার স্বামী কানপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত।
চিফ ভেটেরনারি অফিসারের ওই চিঠি রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজেনদের পক্ষ থেকে তিরস্কার এবং কড়া সমালোচনা ধেয়ে আসে। এরপর দুবে এই আদেশের সাথে তার কিছু করার নেই বলে একটি বিবৃতিও দেন।
তিনি বলেন, "আমার কোনো গোরু নেই। আমার পরিবারের কারোরই কোনো গোরু নেই। এই চিঠিতে আমার অনুমোদন নেই।" দুবে জানান, গত কয়েক মাস ধরে, তীব্র গরমের কারণে, তিনি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা গোরুগুলি যাতে উপযুক্ত এবং সময়মতো খাবার পায় তা নিশ্চিত করে চলেছেন।
পুরো বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করে তিনি জানিয়েছেন, "প্রধান ভেটেরিনারি অফিসার এবং তার ডেপুটি দু’জনকেই অবহেলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছি। এই চিঠি তাদের দূষিত মানসিকতার প্রমাণ এবং এটি একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।"
দুবে বলেন, যখন তিনি CVO-এর অফিসের অভ্যন্তরীণ রেজিস্টার পরীক্ষা করেন, তখন দেখা যায় যে ডাক্তারদের পোস্টিংয়ের আদেশ প্রত্যাহার করে পরবর্তী একটি চিঠি তৈরি করা হয়েছিল। তবে আগের যে চিঠি প্রচার পেয়েছিলো সেই চিঠিটি দেওয়া হয়নি।
তিনি জানান, টুইটারের মাধ্যমে তিনি চিঠির বিষয়ে জানতে পেরেছেন। তিনি আরও বলেন, "আমি এখানে দেড় বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছি। হঠাৎ করে এমন একটি চিঠি কীভাবে এলো তা খুবই আশ্চর্যজনক।" এই ঘটনার পর দুবে সিভিওকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করেন এবং রবিবারই তাঁর নির্দেশ কার্যকর করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন