

উন্নাও ধর্ষণকান্ডের মূল অভিযুক্ত বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেনগারের জামিনের বিরোধিতা করে পথে নামলো বিভিন্ন মহিলা সংগঠন। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের সামনে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভ থেকে কুলদীপ সিং সেনগারের শাস্তি বহাল রাখার দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভকারীদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘বলাৎকারীয়ো কো সংরক্ষণ দেনা বন্ধ করো’। এদিনই দিল্লি হাইকোর্টের দেওয়া সেনগারের জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই।
গতকাল দিল্লি হাইকোর্টের সামনের বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা এবং তাঁর মা। যদিও দিল্লি পুলিশ তাদের গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভে অংশ নিতে দেয়নি। সাংবাদিকদের সঙ্গেও তাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এদিনই সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাতের সঙ্গে ফোনে কথা হয় নির্যাতিতা ও তাঁর মায়ের। এর আগে তাঁরা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন।
গতকালের বিক্ষোভে অংশ নিয়ে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির (AIDWA) সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম ধাওয়ালে বলেন, ‘ধর্ষক, খুনি সেনগারকে জামিন দিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট গোটা দেশকে বার্তা দিল যে আমাদের বিচার ব্যবস্থা ধর্ষক, খুনিদের রেহাই দিয়ে দেয়। …এসব দেখতে দেখতে মহিলারা বিরক্ত, হতাস। বারবার মহিলাদের সঙ্গেই অবিচার করা হচ্ছে।’ উন্নাও কান্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন একটা ভাব করা হচ্ছে যেন নির্যাতিতাই অপরাধী। তিনি আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে এসেছিলেন। অথচ তাদের গাড়ি থেকে নামতেই দেওয়া হয়নি। সেদিন ইন্ডিয়া গেটেও তাঁর সঙ্গে একই আচরণ করা হয়েছে। সরকারের এই আক্রমণের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।
অন্যদিকে গতকালই কুলদীপ সিং সেনগারের জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। গতকাল সিবিআই-এর দাখিল করা স্পেশাল লিভ পিটিশনে দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুই মহিলা আইনজীবী একই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
গত মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেনগারের শাস্তি রদ করে তাঁকে জামিন দেয়। উন্নাও ধর্ষণ কান্ড এবং নির্যাতিতার বাবার হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় তিনি যাবজ্জীবন কারাদন্ড ভোগ করছিলেন। দিল্লি হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের পরেই ইন্ডিয়া গেটের সামনে বিক্ষোভে বসেন নির্যাতিতা ও তাঁর মা। ওইদিন রাতেই দিল্লি পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে তুলে দেয়। যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন মহল থেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন