Unnao Rape Case: কুলদীপ সিং সেনগারের জামিনের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন
উন্নাও ধর্ষণকান্ডের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেনগারের জামিনের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দিলেন আইনজীবী অঞ্জলি প্যাটেল এবং পূজা শিল্পাকর। দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে তাঁরা এই আবেদন করেছেন। ২০১৭ নাবালিকা ধর্ষণকান্ডের মূল অভিযুক্ত বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা কুলদীপ সিং সেনগার সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।
আবেদনকারীদের বক্তব্য, দিল্লি হাইকোর্ট উপযুক্ত বিবেচনা না করেই অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে। যেখানে ট্রায়াল কোর্ট জানিয়েছিল, সেনগরকে অবশ্যই যাবজ্জীবন কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে হাইকোর্ট আইন অনুসারে বড়ো ভুল করেছে। কুলদীপ সিং সেনগারের গুরুতর অপরাধ এবং ধর্ষণে যুক্ত থাকার অতীত ঘটনাকে তাঁকে জামিন দেবার সময় নজরে রাখেনি।
জামিনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদনে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট এই ঘটনায় বস্তুগত প্রমাণের মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে, যেখানে স্পষ্টভাবেই বর্বরতা প্রকাশ পেয়েছে। অভিযুক্তের প্রদর্শিত পেশীশক্তি, আর্থিক প্রভাব এবং অপরাধমূলক প্রবণতা একসাথে মিলিত হয়েছে। যা প্রমাণ করে নির্যাতিতার বাবা হেফাজতে থাকাকালীনও অভিযুক্ত ওই পরিবারকে চুপ করিয়ে দেবার জন্য নির্যাতিতার বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং তাঁর মৃত্যু হয়।
গত ২৩ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি সুব্রহ্মনিয়াম প্রসাদ এবং বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথন শঙ্করের বেঞ্চ জানায়, “আমরা সাজা স্থগিত করছি। ১৫ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত মুচলেকা এবং সমপরিমাণ অর্থের তিনজনের জামিনদার লাগবে...। অভিযুক্ত নির্যাতিতার বাসভবনের ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে যেতে পারবে না। আপিল চলাকালীন দিল্লিতে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে সাজার বাকি অংশ সম্পন্ন করার জন্য তাঁকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে।”
ওইদিনই উন্নাও ধর্ষণ কান্ডে মূল অভিযুক্ত, যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেনগারের জামিনের পরেই ইন্ডিয়া গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন নির্যাতিতা ও তাঁর মাকে। যদিও রাতের দিকে তাদের জোর করে বিক্ষোভস্থল থেকে সরিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে প্রভাবশালী বিজেপি নেতা ও বিধায়ক কুলদীপ সিং সেনগার ২০১৭ সালের এক ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রমাণিত হন। তাঁর বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতিতার বাবার মৃত্যুর ঘটনাতেও তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

