নিজের নিরাপত্তারক্ষীর দ্বারাই হেনস্থার শিকার উন্নাও গণধর্ষণ কান্ডের নির্যাতিতা, আদালতে মামলা দায়ের

বর্তমানে উন্নাও গণধর্ষণ কান্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিককেই এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা এবং দায়রা আদালতের বিচারপতি ধর্মেশ শর্মা।
নিজের নিরাপত্তারক্ষীর দ্বারাই হেনস্থার শিকার উন্নাও গণধর্ষণ কান্ডের নির্যাতিতা, আদালতে মামলা দায়ের
প্রতীকী ছবি
Published on

নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের দ্বারাই হেনস্থার শিকার হলেন উন্নাও গণধর্ষণ কান্ডের নির্যাতিতা। এই ঘটনায় দিল্লির একটি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষাকর্মী নিয়োগ করা হয়।

বর্তমানে উন্নাও গণধর্ষণ কান্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিককেই এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা এবং দায়রা আদালতের বিচারপতি ধর্মেশ শর্মা।

৩১ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হওয়া শুনানিতে বিচারপতি বলেছেন, "অভিযোগকারীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে নিয়োগপ্রাপ্ত নিরপত্তারক্ষীরা (Personal Security Officers) তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা করেছেন। অন‍্য অর্থে তাঁরা অভিযোগকারীকে তাঁর স্বাধীনতা উপভোগ করতে দিচ্ছেন না‌।"

বিচারপতি আরো বলেন, অপরদিকে পুলিশের কাছ থেকে একটি সিল করা হয় খাম পাওয়া গেছে যাতে অভিযোগকারী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ করা হয়েছে। সমগ্র বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় তদন্তকারী অফিসাররকে দ্রুত এই বিষয়ের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ যখন ওই নির্যাতিতা নাবালিকা ছিলেন, তখন বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেনগার তাঁকে অপহরণ করেন এবং ধর্ষণ করেন। উন্নাও পুলিশ এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করছে না, এই অভিযোগ ওঠার পর মামলা উন্নাও থেকে দিল্লি স্থানান্তরিত হয় এবং তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ধর্ষণ মামলায় সেনগারকে বাকি জীবন জেলে কাটানোর সাজা শোনানো হয়। এর পরের বছর মার্চ মাসে সেনগার, তাঁর ভাই ও আরো পাঁচ জনকে নির্যাতিতার বাবাকে হত‍্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

নির্যাতিতার বাবার মৃত্যুর পরই ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in