সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে মুদ্রাস্ফীতি! কী কারণে? রিপোর্ট প্রকাশ করে জানাল RBI

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ সালে ভারতে মুদ্রাস্ফীতি বেশ উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। টানা ১০ মাস দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬ শতাংশের কাছাকাছি, যাকে ‘সহ্যসীমা’র থেকে সামান্য বেশি বলে জানিয়েছে RBI।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
রিজার্ভ ব্যাঙ্কফাইল চিত্র সংগৃহীত
Published on

ভারতে সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে মুদ্রাস্ফীতি! ঠিক কী কারণে এই দুরবস্থা? মঙ্গলবার, রিপোর্ট প্রকাশ করে সেই তথ্য জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)।

বার্ষিক রিপোর্টে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং খাদ্য, শক্তি ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জেরে, ২০২২-২৩ সালে মুদ্রাস্ফীতি চরম আকার ধারণ করেছে। শুধু তাই নয়, মুদ্রাস্ফীতির বিশ্বায়নের প্রভাব পড়েছে ভারতের উপরেও।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ সালে ভারতে মুদ্রাস্ফীতি বেশ উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। টানা ১০ মাস দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬ শতাংশের কাছাকাছি। আর, মুদ্রাস্ফীতির এই হারকে ‘সহ্যসীমা’র থেকে সামান্য বেশি বলে জানিয়েছে RBI।

২০২২-২৩ সালের বার্ষিক রিপোর্টে RBI জানিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সহজলভ্যের জন্য মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমেছিল। তবে, ২০২৩ সালের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এটি আবার বাড়ে, এবং মার্চ মাসে তা ৫.৭ শতাংশে পৌঁছে যায়।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘গ্রীষ্মের শুরুর দিকের প্রবল তাপপ্রবাহ এবং অসময়ের বৃষ্টির প্রভাব পড়ে খাদ্যের দামের উপর। বছরের প্রথমার্ধে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটে, তবে দ্বিতীয়ার্ধে তা হ্রাস পায়। খরিফ শস্য এবং মৌসুমী তাজা ফসলের আগমনের সাথে সাথে বিশ্বজুড়ে খাদ্যের দাম কিছুটা কমতে থাকে।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুদ্রাস্ফীতির হারের নিরিখে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিক্স (World of Statistics)। যেখানে মুদ্রাস্ফীতির হারের নিরিখে বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। তার পরে রয়েছে তুরস্ক। ভারতের (India) স্থানও রয়েছে প্রথম ১০-এর তালিকায়।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
পার্লামেন্ট উদ্বোধনের নামে সরকারি মঞ্চে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়েছে: বিজয়ন
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স বিতর্কে কেজরিওয়ালকে সমর্থন ইয়েচুরির, BJP বিরোধী ঐক্যে 'নয়া বার্তা'

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in