Tripura: ত্রিপুরায় তৃণমূলে ফের ভাঙন, প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা রাজ্য সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাসের
দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন ত্রিপুরার তৃণমূল সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস। মঙ্গলবার দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা এক চিঠিতে তিনি ত্রিপুরা সভাপতির পদ এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফার কথা জানিয়েছেন।
পীযূষকান্তি বিশ্বাসের ইস্তফার পর রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা যে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি। এমনকি এই খবর লেখা পর্যন্ত তিনি তাঁর ট্যুইটার বায়োতেও কোনও বদল আনেননি।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূলে যোগদানের পরেই তাঁকে ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর নেতৃত্বেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে তৃণমূল। যদিও ৬০ বিধানসভা আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভায় তৃণমূল মাত্র ২৮টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছিল।
রাজ্যের শেষ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়। সব আসনেই জামানত জব্দ হয় তৃণমূল প্রার্থীদের। নোটার থেকেও কম ভোট পায় তৃণমূল প্রার্থীরা। এর আগে ত্রিপুরায় তৃণমূলের দায়িত্বে থাকা সুবল ভৌমিক বিধানসভা ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দেন।
অবশ্য ত্রিপুরা তৃণমূলে ভাঙন এই প্রথম নয়। এই মাসেরই ৫ তারিখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি আশিস লাল সিং। এরও আগে গত বছরের আগস্ট মাসে তৃণমূল থেকে ইস্তফা দেন দলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি আবদুল বাসিত খান। দল ছাড়ার সময় তাঁর অভিযোগ ছিল যে ‘তৃণমূল দুর্নীতিতে জর্জরিত’।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তৃণমূল। সেবার রাজ্যে মোট ২৪ টি আসনে প্রার্থী দিয়ে তৃণমূল ভোট পেয়েছিল ৬,৯৮৯টি। শতকরার হিসেবে ০.৩ শতাংশ।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
